পাঁচটি গন্ডারের মৃত্যুতে ক্রমশ অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক জোরালো হচ্ছে জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে। গন্ডার ও বন দফতরের হাতিদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়াও নজর রাখা হচ্ছে পশুদের আচরণ ও চলা-ফেরার উপর। মৃত গন্ডারদের ময়না তদন্তের রিপোর্ট বেলগাছিয়া পশু পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। এরপর রিপোর্ট এলেই স্পষ্ট হবে পাঁচটি গন্ডারের মৃত্যুর কারণ। বনদফতরের আধিকারিক রবিকান্ত সিনহা বলেন, 'পশুদের অ্যানথ্রাক্স রোধকারী ভ্যাকসিন দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যা ইতিমধ্যেই দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।'
রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'কোনও মতেই অভারণ্যে যাতে গৃহপালিত পশুরা প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। গ্রামবাসীদের তাদের পোষ্যদের ওই অঞ্চলে নিয়ে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।' নজরদারিতে ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়া প্রশিক্ষণরত হাতির মাধ্যমেও অরণ্যের মধ্যে নজরদারি চালাচ্ছেন বনকর্মীরা।
আরও পড়ুন: নেওড়া ভ্যালির জঙ্গলে দেখা মিলল রয়াল বেঙ্গল টাইগারের
একের পর এক গন্ডারের দেহ উদ্ধার হলেও রোগের কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
জলদাপাড়ায় পর্যটকদের ঘুরে বেড়ানোর ক্ষেত্রে কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা না হলেও আগামী বৃবস্পতিবার পর্যন্ত জলদাপাড়ায় হাতি সাফারি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন