''লাখখানেক চাকরির মধ্যে ৫০-১০০টা ভুল কেস হতেই পারে।'' এসএসসি-র চাকরি দুর্নীতি নিয়ে এবার ড্যামেজ কন্ট্রোলে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম না করে এদিন চাকরি দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকেও নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এসএসসি-র মাধ্যমে রাজ্যে শ'য়ে-শ'য়ে ভুয়ো চাকরি হয়েছে বলে অভিযোগ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যের চাকরি দুর্নীতির তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। ইতিমধ্যেই বেনিয়ম করে নিয়োগ পাওয়া অনেককেই চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। এমনকী জাল নিয়োগ পাওয়া খোদ মন্ত্রীর মেয়েই চাকরি খুইয়ে বেতনের টাকা ফেরত দিতে শুরু করেছেন।
চাকরি দুর্নীতি নিয়ে সরকারকে প্যাঁচে ফেলে সরব বিরোধীরাও। এবার তারই পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীর। সোমবার বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে চাকরি দুর্নীতি ইস্যুতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে 'ভুল কেস' তত্ত্ব সামনে এনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আগাগোড়া এই দুর্নীতি নিয়ে এদিন নাম না করে তিনি নিশানা করে গিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। নাম না নিয়ে শুভেন্দুকে এদিন 'দাদামণি' বলে কটাক্ষ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- ‘ছেলে পেটাবে, বাবা দারোয়ান রাখবে’, কৈলাসের ‘অগ্নিবীর’ মন্তব্যে খেপে লাল অভিষেক
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ''এই ছেলেগুলোর চাকরি গেলে দাদামণি যাঁদের চাকরি দিলেন তাঁদের কী হবে? পুরুলিয়ার চাকরি মেদিনীপুরে নিয়ে গিয়েছিলেন, আমরা সব জানি। দাদামণি এবার জবাব দেবেন? সরকারে যখন থাকবেন তখন করে খাবেন, আবার বিজপিতে গিয়েও করে খাবেন? বিজেপিরর এমপি-এলএ যাঁরা আছেন তাঁরাও কিন্তু ছাড় পাবেন না।''
আরও পড়ুন- বঙ্গে ফের করোনা-কামড়, এক ধাক্কায় দৈনিক সংক্রমণ সাড়ে ৩০০ পার
স্বজনপোষণ করে রাজ্যে এসএসসি-র মাধ্যমে অনেকের চাকরি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আমলেই বেনিয়ম করে চাকরি হয়েছে বলে অভিযোগ। সিবিআই এব্যাপারে তাঁকে কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদও করেছে। দলের মহাসচিবকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গেও এদিন মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ''পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এতেই লাফাচ্ছে।'' এরপরেই ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''লাখখানেক চাকরির মধ্যে ৫০-১০০টা ভুল কেস হতেই পারে।''