Malda News: মালদা থেকে কেউ যাচ্ছিলেন ব্যবসার কাজে, আবার কেউ বা চিকিৎসা করাতে। কিন্তু ঝাড়খণ্ডের চক্রধরপুরে হাওড়া-মুম্বইগামী এক্সপ্রেস ট্রেনের দুর্ঘটনায় (Jharkhand Train Accident) জখম মালদার ৬ যাত্রী। আহতদের বাড়ি ইংরেজবাজার ও চাঁচোল থানা এলাকায়। যদিও এই দুর্ঘটনার পর মালদার আহত যাত্রীরা মোবাইলে ভিডিও কল করে সুস্থ থাকার কথা তাঁদের বাড়ির লোকেদের জানিয়েছেন।
হাওড়া-মুম্বইগামী এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনায় এখনও আতঙ্কের ছাপ রয়েছে জখম যাত্রীদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। সুস্থভাবে পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে ফিরে না আসা পর্যন্ত দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বাড়ির লোকেরা। যদিও মালদার আহত যাত্রীদের ঝাড়খণ্ডের চক্রধরপুর এলাকার সরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে।
পুলিশ ও রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদায় আহত যাত্রীদের নাম জামশেদ শেখ (৩৩), সোহরাব আলি হোসেন (৪০), কাদির শেখ (২৪)। এদের বাড়ি ইংরেজবাজার ব্লকের নরহাট্টা গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষ্মীঘাট বালুপুর এলাকায়। অন্য তিনজনের নাম রাজু শেখ (৪২) । তার বাড়ি চাঁচল থানা এলাকায়। বাদল কুমার দাস (৬৬) এবং তার স্ত্রী সবিতা দাস (৫৭), তাঁদের বাড়ি ইংরেজবাজার থানার কোতুয়ালি এলাকায়। দাস দম্পতি মুম্বাইয়ে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছিলেন। বাকিরা প্রত্যেকেই ব্যবসা কাজেই মুম্বইয়ের উদ্দেশ্যে সোমবার রাতে হাওড়া স্টেশন থেকে ওই ট্রেনে রওনা দিয়েছিলেন।
ইংরেজবাজারের নরহাট্ট্য এলাকার বাসিন্দা ওই ট্রেনের যাত্রী জখম কাদের শেখের মা রুমেলা বিবি বলেন, "আমার ছেলে ফলের ব্যবসা করে। মুম্বইয়ের বিভিন্ন এলাকা থেকেই ফলের আমদানির জন্য সেখানকার পাইকারদের সাথে কথা বলতে ওই ট্রেনে ও যাচ্ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার সকালেই যখন ট্রেন দুর্ঘটনার কথা জানতে পারি, তখনই ছেলেকে ফোন করার চেষ্টা করি। কিন্তু ফোনে যোগাযোগ করতে পারিনি। দীর্ঘক্ষণ পর ছেলে ভিডিও কল করে গোটা পরিস্থিতির কথা জানায়। তবে ছেলে সুস্থ আছে। ঘাড়ে ও হাতে সামান্য আঘাত লেগেছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেলেকে ছেড়ে দিয়েছে। তড়িঘড়ি ছেলেকে বাড়ি ফিরে আসতে বলেছি। ওর জন্য চিন্তা হচ্ছে।"
আরও পড়ুন- Mamata Banerjee: বাংলায় বিপুল বিনিয়োগের সম্ভাবনা উজ্বল! বিড়লা-কর্তাকে বিরাট আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর!
অপর ট্রেন যাত্রী জামশেদ শেখের স্ত্রী সামিনা খাতুন বলেন, "মালদা থেকে আম এবং আমসত্ত্ব রফতানির কাজ করেন আমার স্বামী। মুম্বইয়ের ফল বাজারে বেচাকেনা রয়েছে স্বামীর। ব্যবসার জন্য স্বামী হাওড়া-মুম্বইগামী এক্সপ্রেস ট্রেনে রওনা দিয়েছিলেন। ঝাড়খণ্ডের চক্রধরপুরে দুর্ঘটনার খবর লোকমুখে জানতে পারি। এরপর ফোনে যোগাযোগ করেই ভিডিও কল করি। স্বামী জানিয়েছেন আপাতত সুস্থ আছে। তবে সঙ্গে থাকা জামাকাপড়ের ব্যাগটা খুঁজে পায়নি।"
এদিকে, রেল সূত্রে জানা গিয়েছে হাওড়া-মুম্বইগামী এক্সপ্রেস ট্রেনটির ঝাড়খণ্ডের চক্রধরপুরে ১৬টি বগি লাইনচ্যুত হয়। তাতেই দুই যাত্রী মারা গিয়েছেন। অনেকে জখম হয়েছেন । আহতদের মধ্যেই মালদা জেলার ৬ জন যাত্রী রয়েছে। যদিও আহত মালদার যাত্রীদের সুষ্ঠুভাবে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। রাজ্য সরকারের সহযোগিতা নিয়েই মালদার আহত যাত্রীদের ফেরানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।