ভরদুপুরে সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতি। বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটে নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে ডানকুনিতে। দোকানের কর্মীরা জানিয়েছেন, কালীপুরের কাছে একটি সোনার দোকানে দুই দুষ্কৃতী ক্রেতা সেজে ঢুকেছিল। তারা নাকছাবির দরদাম করছিল। শোরুমে তখন মাত্র একজন মহিলা কাস্টমার ছিলেন। এছাড়া ছিলেন কয়েক জন পুরুষ।
এরমধ্যেই নিরাপত্তারক্ষীকে গান পয়েন্টে রেখে জনা তিনেক দুস্কৃতী শোরুমের ভিতরে ঢুকে পড়ে। সেই সময় ভিতরের দুস্কৃতীরাও স্বরূপ ধারণ করে। প্রত্যেকের হাতেই ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। ভিতরে থাকা সব ব্যক্তির মোবাইল ফোন দুষ্কৃতীরা কেড়ে নিয়ে এক জায়গায় জড়ো করে। প্রত্যেককে পাশের একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে তারা আটকে দেয়।

কয়েক মিনিটের এই অপারেশনে তারা একটি বড় ব্যাগে দোকানের শোকেস থেকে যতটা পারা যায় গয়না ভরে নেয়। ক্যাশ বাক্স থেকে তুলে নেওয়া হয় সমস্ত নগদ। এরপরে বাইরে রাখা তিনটি বাইকে চেপে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। খবর পেয়ে ছুটে আসে ডানকুনি থানার পুলিশ। চারিদিকে নাকা চেকিং করে তল্লাশি শুরু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, দুস্কৃতীদের মধ্যে একজন বাংলায় ও বাকিরা হিন্দিতে কথা বলছিল।
আরও পড়ুন- সাবধান! বয়স্কদের মধ্যে আলঝাইমারের প্রবণতা বাড়িয়েছে করোনা, জানা গেল নতুন গবেষণায়
সাম্প্রতিক অতীতে এই অঞ্চলে এতবড় ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। তা-ও নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে, এমন এক নামী বিপণিতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। পুলিশ এই ঘটনায় ওই দোকানের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। দোকানে যে ক্রেতারা সেই সময় উপস্থিত ছিলেন, তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এই ঘটনায় বাইরের দুষ্কৃতীদের যুক্ত থাকার সম্ভাবনাও তদন্তকারীরা উড়িয়ে দিচ্ছেন না।
একইসঙ্গে অবশ্য এলাকার কোনও দুষ্কৃতীরও এই-কাণ্ডে যোগসাজশ রয়েছে বলেই তদন্তকারীরা মনে করছেন। কারণ, প্রাথমিক তদন্তের পর গোয়েন্দাদের অনুমান, রীতিমতো পরিকল্পনা করে ডাকাতি করেছে দুষ্কৃতীরা। এই অপরাধ ঘটানোর আগে, তারা রেইকি করে গিয়েছিল কি না, তদন্তে তা-ও জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা। এই ব্যাপারে ওই বিপণি ও তার আশপাশের গত কয়েকদিনের সিসিটিভি ফুটেজ গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখছেন।