২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে কলকাতার ময়দান ভরিয়ে ছিল ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট তথা আইএসএফের কর্মী-সমর্থকরা। ব্যাপক তোড়জোড় করে শুধু ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্রে জয় পেয়েছিল আইএসএফ। যদিও জোটসঙ্গীরা কোনও আসনই পায়নি। তবে রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে হাজারো জ্বলন্ত ইস্যু থাকতেও এখন আর বামেদের সঙ্গে কোনও আন্দোলনেই দেখা মিলছে না আব্বাস উদ্দিন তথা ভাইজানের তৈরি করা দলের। কলকাতায় বড় মিছিল বা সভা-সমাবেশও করছে না আইএসএফ।
আইএসএফের বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, 'সিপিএম বা বামেদের সঙ্গে কোনও যৌথ আন্দোলন নিয়ে আলোচনা হয়নি। আলোচনা হলে অবশ্যই জানাব। যেখানে আমাদের শক্তি আছে সেখানে আন্দোলন করছি। আজ চন্ডীতলায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে, আনিস হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে পথে নামছি। আমাদের ট্যাগলাইন পাড়ায় পাড়ায় চোর ধরো, জনগণের জোট গড়ো।'
সিপিএমের সঙ্গে জোট গড়ে আইএসএফ গত বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করেছিল। হুগলির চণ্ডীতলা কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম। রাজনৈতিক মহলে চর্চা রয়েছে আইএসএফের সঙ্গে জোটের ব্যাপারে বিশেষ উদ্যোগী ছিলেন সেলিম। তিনিই এখন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। নওসাদের কথায়, 'আমরা একাই এখন আন্দোলন করছি।' এই মুহূর্তে কলকাতায় বড় মিছিল-সভা করার কথাও এখন ভাবছে না আইএসএফ।
নওসাদ বলেন, 'এখন বৃষ্টির সময়। বৃষ্টির মরসুমের জন্য কলকাতায় এখন সভা করছি না। অক্টোবর বা নভেম্বরে কলকাতায় সভা হবে। তাছাড়া কর্মীদের ওপর শাসকদল মারধর করছে, বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে, অনবরত হুমকি দিচ্ছে। তবে শুনছি দুর্নীতির মামলায় আরও গ্রেফতার হবে। আগামিদিনে আরও আন্দোলন করতে হবে।'
ব্রিগেডের সমাবেশে হুঙ্কার ছেড়িছিলেন আইএসএফের প্রতিষ্ঠাতা পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী তথা ভাইজান। যদিও আব্বাস সিদ্দিকী নিজে নির্বাচনে লড়াই করেননি। ভাইজান কিংমেকার হতে চান বলেও ঘোষণা করেছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন ব্যালান্সিং ফ্যাক্টর হবে আইএসএফ। যদিও একটি আসন পেয়েই তখন রণে ভঙ্গ দিতে হয়েছে ভাইজানকে। বিধানসভা ভোট পেরিয়েছে দেড় বছর হতে চলেছে। এখন রাজনীতির ময়দান সামলাচ্ছেন তাঁর ভাই বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী। আন্দোলনে সঙ্গে নেই ভোটের জোটসঙ্গীরাও।