অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদেশযাত্রা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তাঁর বিদেশযাত্রা প্রসঙ্গ নিয়ে হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টেও উঠেছিল। বুধবার আদালতে ইডির আইনজীবী জানিয়েছেন, সোমবার পর্যন্ত অভিষেকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করবে না ইডি। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্রে লেখা হয়েছে, চিকিৎসার জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিদেশ যাত্রায় সম্মতি দিতে বাধ্য হল ইডি।
এদিকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বিদেশ যাত্রা নিয়ে কটাক্ষ করছে বিজেপি। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, চোখের জরুরি চিকিৎসার জন্য অভিষেককে বিদেশ যেতে হয়েছে। এর আগে চিকিৎসা করতে বিদেশ যাবেন বলে ইডিকে লিখিত ভাবে জানিয়েছিলেন অভিষেক। বিরোধীদের কটাক্ষ প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র অরূপ চক্রবর্তী ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, 'হাতি চলে বাজার, কুত্তা ভোকে হাজার।' এর থেকে বেশি কিছু বলার নেই বলে তিনি জানিয়ে দেন।
আরও পড়ুন- ফের বেআব্রু শিক্ষা! একাদশ-দ্বাদশে নিয়োগেও চরম দুর্নীতি! ‘প্যাঁচে’ পড়ে নামের তালিকা এসএসসির
তৃণমূল সূত্রে খবর, অভিষেকের চোখের অবস্থা খুবই ক্রিটিক্যাল। দুবাই ও আমেরিকার দুজন ডাক্তার চিকিৎসা করছেন। চিকিৎসা করাতে তাঁকে যেতেই হবে। বাদিকের চোখের অপটিক্যাল লোব ভেঙে গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে গিয়েছে। এখানে অন্য কিছু খুঁজতে যাওয়া মানে অযথা বিতর্ক তৈরি করা। এদিকে গতকাল দুবাই উড়ে যাওয়ার ঘটনা সামনে আসতেই সোশাল মিডিয়ায় বিতর্ক শুরু করে বিরোধীদের একাংশ। বিজেপির একাংশ, অভিষেকের বিদেশ যাত্রা নিয়ে কটাক্ষ করেন। আরেক পক্ষ, অভিষেকের বিদেশ যাত্রার মধ্যে সেটিং তত্ব খাঁড়া করেছে।
আরও পড়ুন- ‘তাজা’ নেতার ছেলেকে বিরাট উপহার মমতার, ভাঙড়ে কী কৌশল তৃণমূলের?
গত সোমবার অভিষেকের বিদেশ ভ্রমণের প্রসঙ্গ সুপ্রিম কোর্টে উঠলে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে ছিল, যদি কোনও অভিযুক্তের বিদেশে গা ঢাকা দেওয়ার আশঙ্কা না থাকে, তা হলে দেশের নাগরিকদের বিদেশে যাওয়ার অধিকার রয়েছে। বিশেষত চিকিৎসাজনিত কারণে। অর্থাৎ অভিষেকের বিদেশ সফরে আপত্তি নেই শীর্ষ আদালতেরও।
প্রথম কয়লা কাণ্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ডকে ডিজ্ঞাসাবাদ করেছে এনফোর্সেমেন্ট ডিরেক্টরেট। সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডেও তাঁকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করে নিজাম প্যালেসে। পরে ইডি অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করলেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যস্ত থাকার জন্য তিনি যাননি। এমনকী তৃণমূল যুবর রাজ্য সভানেত্রী অভিনেত্রী সায়নী ঘোষও নির্বাচনে ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে ইডির জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়েছেন।