সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। দিদির রক্ষাকবচ নিয়ে গ্রামে গ্রামে হাজির হচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী, সাংসদ থেকে বিধায়করা। এদিকে শনিবার কেশপুরের জনসভা থেকে লোকসভা নির্বাচনে জয়ের ডাক দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘাটাল ও মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে ৩ লক্ষের ব্যবধানে জয় চাইছেন।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'কেশপুরের এই মাটি থেকে শপথ নিতে হবে আগামী দিন শুধু পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতির ভোট নয়, ঘাটাল ও মেদিনীপুর লোকসভা দুটোই ৩ লক্ষের বেশি ব্যবধানে জিতিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্তিশালী করতে হবে। সেখানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে কেশপুরকে।' কেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্তিশালী করতে হবে তারও কারণ ব্যাখ্যা করেছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।
আরও পড়ুন- আবাসে দুর্নীতির ভুরিভুরি অভিযোগ, সুবিধা-ত্যাগীদের মঞ্চে তুলে পাল্টা জবাব অভিষেকের
পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস যে বিশেষ চিন্তিত নয় তা এদিনের সর্বভারতীয় সম্পাদকের বক্তব্য়ে অনেকটাই পরিস্কার। বরং পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারের সঙ্গে লোকসভার প্রচারও সেরে নিতে চাইছেন অভিষেক। তিনি বলেন, '২০১৪ সালে তৃণমূলের ৩৪ জন সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৪ থেকে ২০১৯ বিজেপি আপনাদের ওপর গা জোয়ারী করতে পারেনি। বাংলার মানুষকে শোষিত, নিপীড়িত, অত্যাচারিত করতে পারেনি। তার কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত আপনারা শক্তিশালী করতে পেরেছিলেন। ১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ৩৪ সাংসদ নেমে হল ২২ আর বিজেপি ২টো সাংসদ বেড়ে হল ১৮। কাউকে চোখে দেখা যায় না। কিন্তু বিজেপির যত ক্ষমতা ও শক্তি বৃদ্ধি হয়েছে বাংলার মানুষের পেটে তত আঘাত পরেছে।'
কেন্দ্র কিভাবে বঞ্চিত করতে বাংলার জনগণকে তা তুলে ধরেছেন অভিষক। তৃণমূলের সাংসদ কমে বিজেপির বেড়ে যাওয়ায় বাংলার জনগণকে যে অসুবিধায় পড়তে হয়েছে সেকথা বলতে চেয়েছেন তৃণমূলের যুবরাজ। অভিষেকের দাবি, '১০০ দিনের কাজ করেও ১৭ লক্ষ পরিবারের টাকা আটকে রেখে দিয়েছে। বাংলা আবাস যোজনায় ১১ লক্ষ পরিবারের টাকা আটকে রেখেছে।' ঘাটালের সাংসদ তৃণমূলের দীপক অধিকারী তথা অভিনেতা দেব ও মেদিনীপুরের সাংসদ বিজেপির দিলীপ ঘোষ। দুই কেন্দ্রেই আগাম জয়ের ব্যবধানের লক্ষ্যমাত্রা দিয়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।