বাংলায় বজ্রাঘাতে মৃতু হয়েছে ৩২ জনের। এর মধ্যে মুর্শিদাবাদেই প্রাণ গিয়েছে ৯ জনের। বুধাবার মুর্শিদাবাদে গিয়ে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলগতভাবে তৃণমূল হতভাগ্য পরিবারগুলোর পাশে রয়েছে বলে আশ্বাস দেন তিনি। মৃতদের পরিবারের তরফে বাড়ির এক সদস্যকে চাকরি দেওয়ার আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তিনি পৌঁছে দেবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দেন অভিষেক।
এ দিন সকালে বেহালা ফ্লাইং ক্লাব থেকে কপ্টারে চড়ে রঘুনাথগঞ্জে পৌঁছান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। প্রথমে তিনি যান বজ্রাঘাচে মৃত প্রহ্লাদ মুরারীর বাড়ি। তারপর অভিজিৎ বিশ্বাসের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন অভিষেক। দুর্গতদের পরিবারের হাতে রাজ্য সরকারের ঘোষিত আর্থিক সহায়তা তুলে দেন তিনি।
আরও পড়ুন- Rajib Banerjee: ‘গদ্দার-বেইমান’, ডোমজুড়ে রাজীবের বিরুদ্ধে পোস্টার, তৃণমূলে না ফেরানোর আবেদন
বজ্রাঘাতে মর্মান্তিক পরিণতির পর পরই হতভাগ্য পরিবারগুলোকে টুইটে সমবেদনা জানান প্রধানমন্ত্রী মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মৃতদের পরিবারপিছু ২লক্ষ টাকার সহায়তার ঘোষণা করেন। পরে ২ লক্যের আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রিুতি দেয় রাজ্য সরকারও। এই প্রেক্ষাপটেই বিজেপির তরফে মমতা সরকারকে নিশানা করা হয়। গেরুয়া শিবিরের কটাক্ষ কেন্দ্রীয় সহায়তা ঘোষণার পর ভয় পেয়েই বাংলায় বজ্রাঘাতে মৃতদের পরিবারকে সহায়তা করেছে নবান্ন। এই ইস্যুতে রঘুনাথগঞ্জে দাঁড়িয়েই বিজেপিকে নিশানা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- “মন্ত্রী হতে পারেনি বলে কি পুরনো দলে ফিরতে ইচ্ছা করছে?” রাজীবকে আক্রমণ সৌমিত্র খাঁয়ের
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের কর্তব্য। রাজ্য সরকার ও তৃণমূল সবসময় মানুষের পাশে রয়েছে ও থাকবে। কেন্দ্র সাহায্য ঘোষণা করে, কিন্ত মমতা সরকার সহায়তা পৌঁছে দিল।' মৃতদের পরিবারের দাবি মতো চাকরির আর্জিও মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েচেন অভিষেক।
রঘুনাথগঞ্জ থেকে বহরমপুরে চলে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার অভিষেক ব্যানার্জি যাবেন হুগলি জেলার খানাকুল, তারকেশ্বর ও পোলবায়। এই জেলায় বজ্রাঘাতে মারা গিয়েছেন ১১ জন। শুক্রবার অভিষেক যাবেন বাঁকুড়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন