Abhishek Banerjee: জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া সফর সেরে কলকাতায় ফিরলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, বিমানবন্দরে জানালেন গুরুত্বপূর্ণ বার্তা।
আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সফর শেষে গতকাল মধ্যরাতে কলকাতায় ফিরলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ এই সফরে তিনি জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়া ঘুরে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ভারতের অবস্থান বিশ্বের সামনে তুলে ধরে সন্ত্রাস ইস্যুতে পাকিস্তানকে বারে বারে নিশানা করেছেন। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে বর্বোরোচিত জঙ্গি হামলার কড়া সমালোচনা করে অপারেশন সিন্দুরের সাফল্য বিশ্বের সামনে তুলে ধরেন তরুণ বাঙালি জনপ্রতিনিধি।
কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক জানান, এই সফর অত্যন্ত কূটনৈতিক ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শাসকদলের সঙ্গে রাজনৈতিক ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের মতবিরোধ থাকলেও, ভারতের স্বার্থ রক্ষায় কখনও আপস করা হবে না বলেও জানিয়েছেন অভিষেক।
২ সপ্তাহের বিদেশ সফর শেষে কলকাতায় ফিরলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার রাত ১২টা ১৫ মিনিটে তিনি কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন। গত ২১ মে তৃণমূলের তরফে প্রতিনিধিত্ব করতে তিনি একটি সর্বদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে জাপান সফরে রওনা দেন অভিষেক। নেতৃত্বে ছিলেন জেডিইউ সাংসদ সঞ্জয় ঝা। সফর চলাকালীন প্রতিনিধি দলটি জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া পরিদর্শন করে অপারেশন সিন্দুরের সাফল্য ও সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে পাকিস্তানের মদতের প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করেন।
গতকাল বিমানবন্দরের বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বলেন,"প্রায় ১৫ দিন পাঁচটা দেশে নানা বৈঠকে অংশ নিয়েছি। বিদেশমন্ত্রী বুধবার একটি বৈঠকে প্রতিনিধিদের ডেকেছেন, তবে আমি সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারব না। সামনেই কালীগঞ্জ উপনির্বাচন ও পাশাপাশি আমার সংসদীয় এলাকাতেও কিছু পূর্ব নির্ধারত কর্মসূচী রয়েছে। আমার মতামত লিখিত আকারে বিদেশমন্ত্রককে জানাব।"
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের তরফে এই সফরের প্রতিনিধত্ব করতে প্রথমে তৃণমূল সাংসদ ইউসুফ পাঠানের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তির পরে অভিষেকের নাম চূড়ান্ত হয়।
আন্তর্জাতিক মঞ্চে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী বার্তা ও পাকিস্তান প্রসঙ্গ
মালয়েশিয়ায়, তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নেন। আলোচনার মূল বিষয় ছিল আঞ্চলিক নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সহযোগিতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষা। মালয়েশিয়ান ইন্ডিয়ান কংগ্রেস (MIC)-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গেও এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এই আলোচনা ঘিরে তৃণমূল কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে জানানো হয়,"সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স"-এর বার্তা স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
কুয়ালালামপুরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিষেক বলেন,"গত ৫০ বছর ধরে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সংলাপ চলছে। ভবিষ্যতে যদি কোনও আলোচনা হয়, সেটা শুধু পাক অধিকৃত কাশ্মীর ইস্যুতেই হওয়া উচিত।"
সিঙ্গাপুর ও অন্যান্য সফরে ভারতের স্বার্থ রক্ষার বার্তা দিয়েছেন অভিষেক। তিনি সাফ জানিয়েছেন, রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকলেও জাতীয় স্বার্থ ও সার্বভৌমত্বকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।" তিনি স্পষ্ট জানান,ভারতের স্বার্থ রক্ষায় কখনও আপস করা হবে না।"এছাড়াও প্রতিনিধি দল মালয়েশিয়ার People's Justice Party (PKR)-এর সঙ্গে এক বৈঠকে ভারতের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী উদ্যোগ এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার বিষয়ে আলোচনা করে।