রাজ্যের বকেয়া আদায়ে দিল্লির বুকে জোরদার আন্দোলনেক হুঁশিয়ারি দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। হকের দাবি আটকে গায়ের জোরে বিজেপি বাংলার মানুষকে ভাতে মারার চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের। দিল্লির থেকে বয়েকা ছিনিয়ে আনতে এদিন নয়া কর্মসূচির ঘোষণা করছেন তৃণণূলের ‘সেকেন্ড অন কমান্ড’।
এদিন আলিপুরদুয়ারের চকোয়াখেতিতে বাবুরহাট খেলার মাঠে তৃণমূলের জনসভায় বক্তব্য রাখেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই রাজ্যের বকেয়া নিয়ে মোদী সরকারকে তুলোধনা করেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। তাঁর দাবি, ‘বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় তৃণণূলের কাছে হেরেছে বিজেপি।তার শোধ তুলতে ১০০ দিনের কাজের টাকা না দিয়ে রাজ্যবাসীকে ভাতা মারার চেষ্টা করছে বিজেপি।’
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে চাপ তৈরিতে এবার নয়া কর্মসূচির ঘোষণা করেছেন তৃণণূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। দলবের নেতাদের অভিষেকের নির্দেশ, ১০০ দিনের কাজ করেও বঞ্চিতদের তালিকা তৈরি করতে হবে। তাঁদের বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নিতে হবে। বঞ্চনার বিষয়টি উল্লেখ করে বঞ্চিতদের সাক্ষর সংগ্রহ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকে চিঠি পাঠানো হবে। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেছেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ-অঞ্চল সভাপতি, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, ব্লক সভাপতিদের বলছি যাঁরা এই বক্তব্য শুনছেন, তাঁদের অনুরোধ, প্রত্যেক বুথে কারা ১০০ দিনের কাজ করে টাকা পাওয়া থেকে বঞ্চিত, তার একটি তালিকা তৈরি করুন। তালিকা তৈরি করে বুথে বুথে মানুষের কাছে যান এবং তাঁদের দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ও কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের উদ্দেশে চিঠি লেখান। ১ মাসে ১ কোটি চিঠি তৈরি করে রাখুন। একমাস পর আমার প্রতিনিধি গিয়ে চিঠি গুলি নিয়ে আসবে। ঠিক পরের দিন ১ কোটি চিঠি নিয়ে আমি দিল্লিতে যাব।’
আরও পড়ুন- রাজনীতিতে ফের ভেসে উঠলেন কৈলাস, ‘শূর্পনখা’ মন্তব্যে তৃণমূলের রোষে বিজয়বর্গীয়
আগামী ১৬ই এপ্রিল থেকে বকেয়া আদায়ে বঞ্চিতদের থেকে এই সাক্ষর সংগ্রহ অভিযান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন অভিষেক।
তৃণমূলের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ডে’ হুঁশিয়ারি, ‘বাংলাকে বঞ্চিত করলে ছেড়ে কথা বলব না। আর কোরোর পা ধরে নয়, অনেক বাবা-বাছা বলে কথা হয়েছে। তৈরি হোন। হকের দাবি বুঝে নিতে এবার আন্দোলন জোরদার করতে হবে। দিল্লির বুকে আন্দোলন হবে। প্রয়োজনে ১০০ দিনের কাজে শ্রমিকদের নিয়ে দিল্লিতে যাব। বকেয়া না পেলে দিল্লি স্তব্ধ করব, মন্ত্রক চলতে দেব না।’
অভিষেকের এই হুঙ্কার প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ডিএ তো রাজ্য সরকারি কর্মীদের হকের দাবি, যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি-ই তো হকের দাবি। আগে সেই দাবিগুলোর সমাধান করুক রাজ্য। দিল্লি অচল করা অত সোজা নয়। আগে হিসাব দিক বাংলার সরকার, তারপর নিশ্চই সব টাকা দেওয়া হবে।’