শিক্ষক নিয়োগ থেকে গরু, কয়লা পাচার, একের পর এক দুর্নীতিতে বিদ্ধ শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। মন্ত্রী-নেতারা গ্রেফতার হচ্ছেন, দিন দিন দলনেত্রীর ভাবমূর্তি ধুলোয় মিশছে। সেই অবস্থায় তড়িঘড়ি মন্ত্রিসভায় রদবদল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাও বিরোধীরা দুর্নীতিকে হাতিয়ার করে বিঁধছে শাসকদলকে। এই অবস্থায় নতুন রূপে ফিরছে তৃণমূল। কলকাতায় এমনই পোস্টারে ছয়লাপ। এর আগে উন্নততর বামফ্রন্টের মতো উন্নততর তৃণমূলের কথা শোনা গিয়েছিল নেত্রীর মুখে। সেটাই কি বাস্তব হতে চলেছে? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।
Advertisment
যদিও এটা কোনও দলীয় ঘোষণা নয়। কিন্তু সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি-সহ বড় বড় হোর্ডিং লাগানো হয়েছে। মূলত দক্ষিণ কলকাতার রাসবিহারী-সহ একাধিক এলাকায় পড়েছে এই হোর্ডিং। স্বাধীনতা দিবসেই লাগানো হয়েছে এই হোর্ডিংগুলি। প্রচারের দায়িত্বে আশ্রিতা এবং কলরব নামে দুটি সামাজিক সংগঠন। এর সভাপতি হলেন কালীঘাট এবং রাসবিহারী অঞ্চলের তৃণমূল নেতা কুমার সাহা। এই হোর্ডিং ঘিরেই রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
হোর্ডিংয়ে লেখা রয়েছে, আগামী ছয় মাসের মধ্যে সামনে আসবে নতুন তৃণমূল। ঠিক যেমন সাধারণ মানুষ চায়। হোর্ডিংয়ে রয়েছে প্রমাণ সাইজের অভিষেকের ছবি। কিন্তু কেন লাগানো হল এই পোস্টারগুলি? তৃণমূলের তরফে এর কোনও সুদত্তর নেই। কিন্তু মনে করা হচ্ছে, শাসকের মুখ বদলের ইঙ্গিত এই হোর্ডিং। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নেই হোর্ডিংয়ে। রয়েছেন অভিষেক। তাহলে কি নেতৃত্বে বদলের ইঙ্গিত? সিপিএমের মতে, মহারাষ্ট্র মডেল এ রাজ্যেও করতে চাইছে বিজেপি। শাসক দলে ভাঙন ধরাতে শিণ্ডে-ছক কষছে গেরুয়া শিবির। মমতা নয়, সামনে আনা হচ্ছে অভিষেককে।
প্রসঙ্গত, ৬ মাসের মধ্যে নতুন তৃণমূলের কথা অভিষেকের মুখে প্রথম শোনা গিয়েছিল। মাস খানেক আগে আলিপুরদুয়ারে কর্মিসভায় তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিতে গিয়ে এই কথা বলেন। তখন পার্থ-পরেশ-মানিকের উপর নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার তৃণমূল। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, "এটা তো দলের হোর্ডিং নয়। উৎসাহী কেউ করে থাকতে পারেন। অভিষেকের বক্তৃতা থেকে কথা তুলে ধরা হয়েছে। মমতাদির নেতৃত্বে, অভিষেকের সেনাপতিত্বে দল এগিয়ে চলেছে।"