গ্রাম বাংলায় উন্নয়নের দাবি করছে তৃণমূল। কিন্তু, 'দিদির দূত'রা গ্রামে পৌঁছতেই অনেক সময় প্রবল বিক্ষোভের সম্মুখীন হচ্ছেন। যা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিচ্ছে বিরোধী দলগুলো। বাস্তব পরিস্থিতি কী? সরজমিনে দেখতে শনিবার কেশপুরের জনসভায় পৌঁছনোর আগে সংলগ্ন গ্রামে গ্রামে অচমকা ঢুঁ মারলেন 'দিদির দূত' অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এলাকা পরিদর্শনের সঙ্গেই শুনলেন গ্রামবাসীদের অভাব, অভিযোগের কথা। তারপর কালক্ষেপ না করেই সমাধানের জন্য গ্রামবাসীদের মাঝে দাঁড়িয়েই সটান ফোন ঘোরালেন মন্ত্রীকে। দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য নির্দেশও দিলেন।
Advertisment
এদিন কেশপুরে সভা করতে যাওয়ার পথে খড়্গপুর এক নম্বর ব্লকের এনিকেট গ্রামে পৌঁছে যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। জানতে চান কেমন আছেন গ্রামবাসীর। স্থানীয়রা নেতাকে সামনে পেয়ে অভাব, অভিযোগের কথা তুলে ধরেন। গ্রামবাসীরা জানান, জমির পাট্টা না থাকায় আবাস যোজনায় পাকা বাড়ি পাননি তারা। এমনকী সমীক্ষা পর্যন্ত হয়নি। স্কুল বাড়ির অবস্থাও শোচনীয় বলে অভিযোগ গ্রামের বাসিন্দাদের। ক্লাস হয় লোকের বাড়িতে। ওই জমি সেচ দফতরের বলে জানান স্থানীয়রা। অভিষেকের প্রশ্নের জবাবে গ্রামবাসীরা জানান গ্রামে পানীয় জল রয়েছে, রেশনও পাচ্ছেন। একই অবস্থা মাতকাতপুর গ্রামেরও।
সব শুনে বিলম্ব করেননি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাট্টা নিয়ে জনগণের সামনে থেকেই সোজ ফোন করেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে। ফোনে তিনি বলেন, 'পার্থদা তোমরা শরীর ঠিক আছে? হ্যাঁ, তোমার অপারেশন হয়েছে জানি।' এরপরই সমস্যা সুরাহায় মন্ত্রীকে দ্রুত কাজের নির্দেশ দেন। বলেন, 'না হলে এঁরা সরকারি সুযোগ, সুবিধা পাচ্ছেন না। নিয়মকানুন মেনে যত দ্রুত সম্ভব একটু পাট্টার ব্যবস্থা করে দিও।'