কুকুর নিধন কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া পড়ুয়ারা ফিরলেন ক্লাসে, শহর জুড়ে ফের বিক্ষোভ

অভিযুক্তদের জামিনে ছাড়া পেয়ে ক্লাস করা প্রসঙ্গে অভিযুক্তদের সহপাঠীদের বক্তব্য, আইন তার নিজের পথে চলুক। কিন্তু তা বলে কারোর পঠন পাঠন অসম্পূর্ণ রাখা উচিত নয়।

অভিযুক্তদের জামিনে ছাড়া পেয়ে ক্লাস করা প্রসঙ্গে অভিযুক্তদের সহপাঠীদের বক্তব্য, আইন তার নিজের পথে চলুক। কিন্তু তা বলে কারোর পঠন পাঠন অসম্পূর্ণ রাখা উচিত নয়।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
dog, কুকুর

কুকুরছানাদের হত্যার প্রতিবাদে এন্টালি থানার সামনে বিক্ষোভ পশুপ্রেমীদের। ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

এনআরএস কুকুর নিধন কাণ্ডে ১৫ টি কুকুরকে নৃশংস ভাবে পিটিয়ে মারার অভিযোগে ওই হাসপাতালের প্রথম এবং দ্বিতীয় বর্ষের দুই নার্সিং পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। জামিন পেয়ে গত সোমবার থেকেই ক্লাসে ফিরেছেন মৌটুসি মণ্ডল এবং সোমা বর্মণ নামে ওই দুই পড়ুয়া।

Advertisment

এর আগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল ওই দুই পড়ুয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত তাঁদের হাসপাতাল চত্বরেই ঢুকতে দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে এনআরএস হাসপাতালের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট দ্বৈপায়ন বিশ্বাসকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছেন স্বাস্থ্য দফতর থেকে কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি এখনও।

অন্যদিকে অভিযুক্ত দুই পড়ুয়া জামিনে মুক্তি পাওয়ায় মঙ্গলবার থেকেই স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু হয় পশুপ্রেমি সংগঠনের।

আরও পড়ুন, এন আর এস কুকুর নিধন কাণ্ডে মানেকা গান্ধীর ফোন

Advertisment

হাসপাতালের নার্সিং পড়ুয়াদের একাংশ ইতিমধ্যে দাবি করেছেন হাসপাতাল চত্বরে কুকুরের নির্বীজকরণ করাতে হবে।  অভিযুক্তদের জামিনে ছাড়া পেয়ে ক্লাস করা প্রসঙ্গে অভিযুক্তদের সহপাঠীদের বক্তব্য, আইন তার নিজের পথে চলুক। কিন্তু তা বলে কারোর পঠন পাঠন অসম্পূর্ণ রাখা উচিত নয়।

প্রসঙ্গত, এনআরএস হাসপাতালে কুকুর নিধন কাণ্ডে অসন্তুষ্ট মানেকা গান্ধী দিন কয়েক আগেই ফোনে কথা বলেন হাসপাতালের ডেপুটি সুপারের সঙ্গে। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, যে দুই ছাত্রীর নামে কুকুর হত্যার অভিযোগ উঠেছে, দোষী প্রমাণিত হলে তাদের বহিষ্কার করতে হবে রাজ্য নার্সিং কাউন্সিল থেকে। নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী তথা পশু অধিকারে নিবেদিতপ্রাণ মানেকা গান্ধী জানিয়ে দেন, এর অন্যথা হলে নার্সিং স্কুলের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। তবে সব মিলিয়ে এনআরএস কর্তৃপক্ষ যেভাবে ঘটনার তদন্ত করেছে, তা নিয়ে সন্তোষপ্রকাশ করেছেন মানেকা গান্ধী।

Read the full story in English