এনআরএস হাসপাতালে কুকুর নিধন কাণ্ডে অসন্তুষ্ট মানেকা গান্ধী। তিনি এদিন ফোনে কথা বলেন হাসপাতালের ডেপুটি সুপারের সঙ্গে। মানেকা এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, যে দুই ছাত্রীর নামে কুকুর হত্যার অভিযোগ উঠেছে, দোষী প্রমাণিত হলে তাদের বহিষ্কার করতে হবে রাজ্য নার্সিং কাউন্সিল থেকে। নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী তথা পশু অধিকারে নিবেদিতপ্রাণ মানেকা গান্ধী জানিয়ে দেন, এর অন্যথা হলে নার্সিং স্কুলের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। তবে সব মিলিয়ে এনআরএস কর্তৃপক্ষ যেভাবে ঘটনার তদন্ত করেছে, তা নিয়ে সন্তোষপ্রকাশ করেছেন মানেকা।
এদিকে এনআরএস হাসপাতালে এদিন বৈঠকের শুরুতেই সমস্যা দেখা দেয়। এসইউসি প্রভাবিত নার্সিং সংগঠনের ৮ সদস্য়ের প্রতিনিধিরা কেন বৈঠকে রয়েছেন, সে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন স্বাস্থ্য ভবনের প্রতিনিধিরা। তাঁরা জানিয়ে দেন, বৈঠক হবে শুধু ছাত্রীদের সঙ্গে।
আরও পড়ুন, পরপর চিতাবাঘের হামলা চা বাগানে, এবার বলি শিশু
গত রবিবার নীলরতন সরকার হাসপাতাল চত্বর থেকে ১৬ টি কুকুরছানার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার করা হয়। বস্তা খুলতেই দেখা যায়, কোনও কুকুর ছানার মাথা থেঁতলে দেওয়া হয়েছে, কারও দু’পা মাথার কাছে কুঁকড়ে গিয়েছে বেধড়ক মারের ফলে।
কুকুর নিধনে এনআরএসের দুই নার্সিং ছাত্রীকে গ্রেফতার করে এন্টালি থানার পুলিশ। ধৃতরা হলেন প্রথম বর্ষের নার্সিং ছাত্রী সোমা বর্মণ (২১) এবং দ্বিতীয় বর্ষের নার্সিং ছাত্রী মৌটুসি মণ্ডল (২১)। ওই দুই ছাত্রীকে প্রথমে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পরই দুজনকেই গ্রেফতার করা হয়। পরে তাঁদের ২০০০ টাকার বন্ডের বিনিময়ে জামিনের নির্দেশ দেয় আদালত। যদিও সন্ধের পরে যেমন মহিলাদের গ্রেফতার করা যায় না, তেমনই তাঁদের হেফাজত থেকে ছাড়া যাবেনা- এই নিয়মের ফলে বুধবার তাঁরা এন্টালি থানার হেফাজতেই ছিলেন। বৃহস্পতিবার তাঁদের টিআই প্যারেড হওয়ার কথা। প্যারেড সারতে সারতে সন্ধে হয়ে যাবে বলে আগামিকালের আগে সোমা-মৌটুসি কার্যত মুক্ত হতে পারবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিকে এন আর এস হাসপাতালকে কুকুরমুক্ত করার ব্যাপারে সরব হয়েছে নার্সিং ছাত্রীদের সংগঠন নার্সেস ইউনিটি।