বঙ্গ বিজেপিতে বড় দায়িত্ব পেলেন রুদ্রনীল ঘোষ এবং বৈশালী ডালমিয়া। বঙ্গ বিজেপির সাংস্কৃতিক সেলের দায়িত্ব পেলেন রুদ্রনীল। অভিনেতা এখন সাংস্কৃতিক সেলের আহ্বায়ক। তাঁর নীচে সহ-আহ্বায়ক হিসাবে আরও সাতজন রয়েছেন। সেই দলে রয়েছেন আরেক তারকা কাঞ্চনা মৈত্র এবং লামা হালদার।
এদিকে, বাণিজ্য সেলের দায়িত্ব পেলেন বালির প্রাক্তন বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া। তিনি বিজেপিতে এতদিন বড় কোনও পদে ছিলেন না। এবার তাঁকে পদ দিল বঙ্গ বিজেপি। শুক্রবার সেলগুলির দায়িত্ব বণ্টন করেছেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
গত একুশের নির্বাচনের ঠিক আগে জোড়াফুল ছেড়ে পদ্মফুলে আসেন দুজনে। চার্টার্ড বিমানে দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। দলবদলের পর দুই নেতা-নেত্রীকে বিধানসভার টিকিটও দেয় গেরুয়া শিবির। কিন্তু ভবানীপুরে রুদ্রনীল এবং বালিতে বৈশালী হেরে যান। তবে দলবদলু রুদ্রনীল বা বৈশালী কেউ-ই রাজীব-মুকুল-সব্যসাচীদের মতো ফের তৃণমূলে ফিরে যাননি। তাই মনে করা হচ্ছে বিজেপি তাঁদের আনুগত্যের পুরস্কার দিল।
আরও পড়ুন ‘সব হিন্দুদের হয়ে ক্ষমা চাইছি’, নূপুরের পয়গম্বর-কাণ্ডে মুসলিমদের বার্তা বিশাল দাদলানির
তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, রুদ্রনীলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু তৃণমূল বিধায়ক তথা পরিচালক রাজ চক্রবর্তীও একই পদে রয়েছেন জোড়াফুল শিবিরে। তিনিও তৃণমূলের সাংস্কৃতিক সেলের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। আর একথা কার না জানা, দুজনই হরিহর আত্মা। যদিও দল আলাদা, কিন্তু রাজনীতির বাইরে দুজনে ভীষণ ভাল বন্ধু। বন্ধু রাজের মতো রুদ্রনীলও এবার বিজেপির সাংস্কৃতিক সেলের দায়িত্বে।
এই দায়িত্ব প্রসঙ্গে রুদ্রনীল ঘোষ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে জানিয়েছেন, "দায়িত্ব মানে কাজ বাড়ে। আর যে বিভাগের কাজের দায়িত্ব সেটাই আমার ভালবাসার জায়গা। যেটার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আমাকে জেনেছেন-চিনেছেন। এই বিভাগটাকে আমি ভাল করে জানি। এই পেশার সঙ্গে যুক্তরা কতটা অসুবিধার মধ্যে আছেন, সমস্যায় আছেন সেটা আমি জানি।"
বন্ধু রাজ চক্রবর্তীও তৃণমূলের সাংস্কৃতিক সেলের মাথায়। সেই প্রসঙ্গে রুদ্রনীল বলেছেন, "আমাদের যখনই দেখা হয় তখন কিন্তু আমরা নিজেদের দল নিয়ে আলোচনা করি না। যেহেতু রাজ শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত তাই আমার কাজটা একটু কঠিন। আমার কালচারাল টিমে কাঞ্চনা-লামার মতো দীর্ঘদিনের অভিনেতা রয়েছে। সচেতন-শিক্ষিত বন্ধুবান্ধব রয়েছেন। তাঁরা এই কাজটাই করবেন যে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির মানুষরা যাতে কেন্দ্রীয় সরকারি সুযোগ-সুবিধা পান সেটা নিশ্চিত করা। সেই শিল্পী যে রাজনৈতিক মতাদর্শেরই হোক না কেন সবার পাশে দাঁড়ানো হবে। যাঁরা কিছু পাননি, কোনও রাজনৈতিক দলের মিছিলে হাঁটেননি, তাঁরা কিছু পাবেন না সেটা হতে পারে না।"