ফের অধীর চৌধুরীর নিশানায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার শালবনিতে জিন্দল গোষ্ঠীর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শিলান্যাস নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। চাকরির নামে মিথ্যাচার করছেন মুখ্যমন্ত্রী, এমনই অভিযোগ বহরমপুরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদের। এরই পাশাপাশি মুর্শিদাবাদে সাম্প্রদায়িক হিংসার পরেও মুখ্যমন্ত্রী সেখানে না যাওয়ায় যারপরনাই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতা। মুর্শিদাবাদেওর ওয়াকফ-হিংসার প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূল সুপ্রিমোকে তুলোধনা করেছেন অধীর।
মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে কী বলেছেন অধীর চৌধুরী?
"মুর্শিদাবাদে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটলেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আসার সময় পেলেন না। কত মানুষের ঘর-বাড়ি পুড়ে গেল, কত মানুষের মৃত্যু হল, পুলিশের নির্দেশে তাণ্ডব চলল কেন্দ্রীয় বাহিনীর, এখানে তিনি আসার সময় পেলেন না। শালবনিতে গিয়ে বাংলার বেকার যুবকদের ধাপ্পা মারতে তাঁর সময়ের অভাব হয়নি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, ১৫ হাজার মানুষের চাকরি হবে আর কোম্পানির মালিক বলছেন ৫ হাজার লোকের চাকরি হবে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলছেন দেখে কেমন শিল্প করলাম, কোম্পানির মালিক বলছেন ১৬ বছর পার হয়ে গেল এই একটা কোম্পানি তৈরি করতে। সস্তায় জমি দিয়ে সরকার বলল তোমাদের যা উৎপাদন তা আমি কিনব।"
অধীরের কথায়, "পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যুতের দাম বাড়ছে। আগামী দিনে বর্ধিত দামে পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যুৎ বেচার লাইসেন্স দিয়ে দেওয়া হল। পরিবর্তে সস্তায় জমি, সস্তায় ঋণ। চাকরির নামে মিথ্যাচার দিদির, কোম্পানি বলছে ৫ হাজার হতে পারে। আপনি ১৫ হাজার লোককে চাকরি দেবেন, এদিকে ২৬ হাজার লোকের চাকরি খেয়ে বসে আছেন। আপনি অঙ্কটা নিজে নিজে কষুন, কত লোককে দিচ্ছেন আর কত লোকের চাকরি খাচ্ছেন।"
আরও পড়ুন- Mamata Banerjee: 'যোগ্য-অযোগ্য দেখতে রাজ্য আছে, আদালত আছে, তালিকার প্রয়োজন নেই', সাফ বললেন মুখ্যমন্ত্রী
গতকালই পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে জিন্দল গোষ্ঠীর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শিলান্যাস করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জিন্দলদের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শিলান্যাস করে বাংলায় হাজার হাজার চাকরির প্রতিশ্রুতি মিলেছিল মুখ্যমন্ত্রীর কথায়। গতকাল শালবনিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন," এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র রাজ্যের শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের জন্য একটি বড় মাইলফলক। এই প্রকল্প শুধুমাত্র বিদ্যুৎ উৎপাদনই নয় এই অঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ও সাহায্য করবে। পশ্চিমবঙ্গ এখন শিল্প বান্ধব রাজ্য। বাংলায় ছয়টি ইকনোমিক পরিদ্বার তৈরি হয়েছে। শুধু পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩৭০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। দেও চাপিতে বিশাল কোল্ড ব্লক তৈরি হচ্ছে। ১ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে।"
আরও পড়ুন- SSC protest LIVE: চাকরিহারাদের ঘেরাও-বিক্ষোভে উত্তাল কলকাতা, 'বড় ভরসা' জুগিয়ে এবার কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?