Adhir Chowdhury criticism: আবারও রাজ্য সরকারের সমালোচনায় প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। এবার স্মার্ট মিটার (smart meter) ইস্যুতে রাজ্যের সমালোচনায় প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ। "স্মার্ট মিটারের নামে বাংলায় নতুন রাহাজানির পথ খুলে দেওয়া হচ্ছে", রাজ্যকে বিঁধে মন্তব্য বহরমপুরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদের।
কী বলেছেন অধীর চৌধুরী?
"স্মার্ট মিটার দিলে সঙ্গে সঙ্গে ইলেকট্রিকের বিল বাড়বে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার পরিকল্পতিভাবে মানুষের কাছ থেকে রাহাজানি করার জন্য এই স্মার্ট মিটার আমদানি করেছে। সরকারে ভাঁড়ার শূন্য, ভাঁড়ার বোঝাতে সরকারের রোজগার দরকার, সেই রোজগার করতে গিয়ে একদিকে GST-এর উপরে হামলা হচ্ছে, একদিকে যানবাহনের উপর হামলা হচ্ছে। এবার স্মার্ট মিটারের নামে নতুন নতুন রাহাজানির পথ খুলে দেওয়া হচ্ছে।"
অধীর চৌধুরী আরও বলেন, "আগামী দিনে মানুষের বিদ্যুতের খরচ দিনের পর দিন বেড়ে যাবে। কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্যগুলিতে বিদ্যুতের দাম মকুব করা হয়, পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতদিন কলকাতা ভুগছিল, এখন গোটা পশ্চিমবঙ্গ ভুগবে। আমরা চাই রাজ্য সরকার মানুষের আর্থিক অবস্থার কথা ভেবে বিদ্যুতের দাম মকুব করুক, যেমন ঝাড়খণ্ড, তেলেঙ্গনা, কর্নাটক করেছে।"
আরও পড়ুন- Kolkata News Live Update:'ভারতে দাঙ্গা বাঁধাতে চেয়েছিল পাকিস্তান', পড়শি দেশকে মানবতার শত্রু বললেন মোদী
উল্লেখ্য, ইদানিং স্মার্ট মিটার নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তুমুল বিক্ষোভ দানা বেঁধেছে। প্রায় প্রতিদিনই জায়গায় জায়গায় বিদ্যুৎ দফতরে গ্রাহকদের বিক্ষোভ, প্রতিবাদ চলছে। বিদ্যুৎ গ্রাহকদের একাংশের দাবি, আগাম টাকা জমা দিয়ে বিদ্যুৎ নেওয়ার ফলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারা যাবে এই স্মার্ট মিটারের মাধ্যমে। কোনও সময় যদি মাঝ রাতে প্রিপেইডের টাকা শেষ হয়ে যায়, তাহলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। বিদ্যুতের দামও চাহিদা অনুযায়ী ওঠানামা করবে যা সাধারণ মানুষের কাছে তীব্র দুর্দশার একটি কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
আরও পড়ুন- Bangladeshi infiltrator: বাংলাদেশ সীমান্তে বিরাট কাণ্ড! কোন রুটে ভারতে ঢুকছে এরা? পরপর গ্রেফতারিতে উদ্বেগ চরমে
সম্প্রতি সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন CITU স্মার্ট মিটার নিয়ে সোচ্চার হয়। সংগঠনের তরফে অভিযোগ করে বলা হয়, কার্যত জোর করে রাজ্য বিদ্যুৎ দফতর কৌশলে মানুষকে প্রিপেইড স্মার্ট ইলেকট্রিক মিটার ব্যবহারে বাধ্য করছে। যদিও বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সিপিএমের শ্রমিক সংগঠনের তোলা এই অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- Hilsa: ইলিশপ্রেমীদের জন্য বিরাট সুখবর! রুপোলি শষ্যের দাম এবার কোথায় নামতে পারে জানেন?