Inspirational story: এমন কীর্তির সব প্রশংসাই যেন কম পড়ে! স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জানকবুল লড়াই
Inspirational story: এক ঝাঁক বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন কিশোর কিশোরীরা রাত-দিন এক করে এখন স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে এগোচ্ছেন। তাঁদেরই তৈরি সামগ্রী বাজারে বিক্রির পর মেলা লাভের টাকা তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হচ্ছে। এমন দুরন্ত উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা সর্বত্র।
Inspirational story: আর মাত্র কয়েকটা দিনের অপেক্ষা! তারপরেই রাখিবন্ধন উৎসব। এই উৎসবকে কেন্দ্র করেই এখন জোরদার ব্যস্ততা তমলুকে। নিমতৌড়ি তমলুক উন্নয়ন সমিতির আবাসিকরা তৈরি করছেন রাখি। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এই আবাসিকদের হাতে তৈরি রাখি ছড়িয়ে পড়বে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। নানা ধরনের সচেতনতামূলক বার্তা ছড়িয়ে দিতেই এবার রাখি বন্ধন উৎসবকে বেছে নিয়েছেন এঁরা। তেমনই এই রাখি তৈরি করে স্বনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যেও এগোচ্ছেন তাঁরা।
Advertisment
তমলুকের এই হোমের আবাসিকরা বঙ্গভঙ্গ রোধ, সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ, পরিবেশ রক্ষা, জল সংরক্ষণের মতো বিষয়গুলিকে রাখির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। আসন্ন শারদীয়ার আগাম শুভেচ্ছাও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পাটের তৈরি রাখিতে। তমলুকের এই হোমের কেউ কথা বলতে পারে না, কেউ আবার দৃষ্টিহীন। কারও দেহের স্বাভাবিকভাবে বিকাশ ঘটেনি। আবার এমনও কেউ কেউ এখানে আছেন, যাঁদের হাত নেই। মনের জোরে পা দিয়েই বানাচ্ছেন রাখি।
নিমতৌড়ি তমলুক উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক যোগেশ সামন্তের কথায়, "হোমের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন আবাসিকরা পাটের বিভিন্ন ধরনের কাজ শিখেছে। রাখি সহ বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করছে ওরা। আর এই সব রাখি ও বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি করে লাভের টাকা তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করা হচ্ছে। একদিকে যেমন এই কীর্তির মাধ্যমে এরা সমাজকে বার্তা দিচ্ছেন, তেমনই এই কাজেক মাধ্যমে ওরা স্বনির্ভর হচ্ছেন।"
তাঁরা সকলেই ব্যস্ত রং তুলি, পাট, লেশ, দড়ি দিয়ে সুন্দর সুন্দর রাখি তৈরীতে। তাঁদের তৈরি রাখি সকলের হাতে হাতে ঘুরবে ভেবে দারুণ খুশি বিশেষভাবে সক্ষম এই সব শিল্পীরা। রাখিগুলি দেখতে যেমন সুন্দর তেমনই সমাজ সচেতনতার বার্তাও লেখা রয়েছে সেগুলিতে।" তিনি আরও জানান, এখনও পর্যন্ত এখানে কয়েক হাজার রাখি তৈরি হয়েছে। সামনেই রাখী বন্ধন উৎসব। ফলে রাখি তৈরির ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে।