Advertisment

Special: এগরা বিস্ফোরণে মমতার সাফাই! কিন্তু মুড়ি-মুড়কির মতো ঢালাও বাজি কারখানা কীভাবে? সর্ষেতেই ভূত!

এগরার বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু মিছিল। রাজ্যে বৈধ বাজি কারখানার সংখ্যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু।

author-image
Joyprakash Das
New Update
After blast in Egra questions about valid license of a large number of fireworks factories in wb

এগরায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়ঙ্কর বিষ্ফোরণে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায়। রাজ্যে গত কয়েক বছরে নানা জায়গায় এমন বিষ্ফোরণে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এই বেআইনি বাজি কারখানা বলাতেও আপত্তি রয়েছে প্রকৃত বাজি প্রস্তুতকারীদের। তাঁদের বক্তব্য, 'রাজ্যে অনুমোদিত বাজির কারখানার সংখ্যা একেবারেই হাতে গোনা, মাত্র ২১। রাজ্য সরকারের অনুমোদনে চলে ১৯টি আর প্রেসোর অনুমোদনে চলে ২টি। তার ওপর শব্দবাজি একেবারেই নিষিদ্ধ।' তাহলে নানা জেলায় একের পর এক বিষ্ফোরণ ঘটছে কি করে? এই প্রশ্ন তুলেছেন বাজি কারখানার মালিকরা।    

Advertisment

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাজির কারখানার মালিকের বক্তব্য, 'আমরা এখন গ্রিন ক্র্যাকার তৈরি করি। রংমশালা, ফুলঝুড়ি, চড়কি, তুবড়ি, এই চার ধরনের বাজি তৈরি হয়। তাহলে বিষ্ফোরণ হওয়ার সম্ভাবনা কোথায়? আমার ধারনা ওই কারখানায় কোনও গ্রিন ক্র্যাকার তৈরি হত না। শব্দবাজি বা অন্য কিছু তৈরির সম্ভাবনাই বেশি।' তাঁর কথায়, 'প্রেসো লাইসেন্স রয়েছে হুগলির জনাইয়ের দুই ভাইয়ের, একটা সংস্থা চ্যাম্পিয়ন আরেকটা নটরাজ। এই লাসেন্সধারীরা ২৫ টন অবধি মজুত রাখতে পারে। তাছাড়া রাজ্যে লাইসেন্স রয়েছে হুগলিতে ৭টি, বর্ধমানে ৪টি, হাওড়ায় ৩টি, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৫টি। জেলাওয়ারি কমবেশি হতে পারে। তাহলে এগরায় এমন একটা কারখানা চলতো কি করে? এর আগেও ওই কারখানায় বিষ্ফোরণ হয়েছে।' তর্কের খাতিরে ধরে নেওয়া যায় বোমা নয়, বাজি তৈরি হচ্ছিল তাহলেও স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের কাছে খবর থাকবে না কেন? প্রশ্ন তুলেছেন ওই বাজি প্রস্তুতকারী।

আরও পড়ুন- এগরায় বিস্ফোরণ: CID তদন্তের নির্দেশ দিয়েও NIA-তে আপত্তি নেই মুখ্যমন্ত্রীর

পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার বিষ্ফোরণে ইতিমধ্যেই এনআইএ তদন্তের দাবি করেছে বিরোধীরা। মুখ্যমন্ত্রী সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিলেও বলেছেন এনআইএ তদন্তে আপত্তি নেই। ঘটনা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যন্ত গড়ালেও কেন এমন ঘটনা বারে বারে ঘটছে সেই প্রশ্ন তুলেছেন খোদ বাজি উৎপাদনকারীরা। জনৈক বাজি কারাখানার মালিকের বক্তব্য, 'সম্ভবত ওই কারখানায় পটাশ নিয়ে কাজ করেছে। নেরির (ন্যাশনাল এনভায়রণমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইন্সটিটিউট, নাগপুর) গাইডলাইনে পটাশ, বেরিয়াম, সালফার পুরোপুরি নিষিদ্ধ। পটাশ সেল তৈরিতে কাজে লাগে। সেলও বাংলায় পুরোপুরি নিষিদ্ধ। গ্রিন বাজি তৈরি করতে পটাশের প্রয়োজন হয় না। এই সবের কোনও মনিটরিং নেই। এরা কোনও বাজি প্রস্তুতকারী নয়।'

আরও পড়ুন- এগরায় বিস্ফোরণ: মারাত্মক আশঙ্কা সুকান্তর! NIA চেয়ে তড়িঘড়ি শাহকে চিঠি

বাজি প্রস্তুতকারীর প্রশ্ন, 'এগরায় বোমা তৈরি হয়নি তার গ্যারান্টি কোথায়? রাজ্যের নানা জায়গায় শ'য়ে শ'য়ে এমন কারখানা হচ্ছে কি করে?' পর পর এই ধরনের কারখানায় বিষ্ফোরণের ফলে প্রতিষ্ঠিত বাজি প্রস্তুতকারী সংস্থা কালিমালিপ্ত হচ্ছে।

Mamata Banerjee bomb blast West Bengal
Advertisment