অঘ্রানেও শ্রাবণের ধারা। মেঘলা আকাশ, ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হয়ে চলেছে। সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস, স্যাঁত স্যাঁতে আবহাওয়া। ঠান্ডা ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে, গায়ে গরম পোশাকও চড়াতে হচ্ছে। তাহলে কী শীত এসে গেল? আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় দিনের তাপমাত্রা কমলেও রাতের পারদ কমছে না। বরং মেঘেরা উত্তরে হাওয়াকে রাজ্যে প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। ফলে থমকে রয়েছে শীত।
তাহলে কবে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়বে? ডিসেম্বরে এরই উত্তর হাতড়াচ্ছে শীতপ্রেমীরা। আবহাওয়াবিদদের আশ্বাস, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ কাটার কয়েকদিন পর রাজ্যে শীত পড়ার অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হবে। বঙ্গে উত্তুরে হাওয়া প্রবেশ করবে অবাধে। তার জেরেই কনকনে ঠান্ডা পড়তে পারে। তবে, আবহাওয়ার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে আগামী বেশ কয়েকদিন সময় লাগবে। অর্থাৎ জাওয়াদ দুর্যোগের পরও শীতের জন্য আরপাও দিন পাঁচেক অপেক্ষা করতে হবে শীতপ্রেমীদের। আগামী সপ্তাহের শেষ থেকে কলকাতা ও দক্ষিণের জেলাগুলির রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে।
আরও পড়ুন- সমুদ্রেই শক্তিক্ষয় জাওয়াদের, দুর্যোগের হাত থেকে রেহাই নেই বাংলার
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, উত্তর-পশ্চিম ভারতে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে রাতের পারদ কয়েক ডিগ্রি কমতে দেখা যেতে পারে। আর জেরই পড়বে পূর্ব-ভারতে। ঠান্ডা অনুভূত হবে বঙ্গে। আসলে উত্তর ভারতের পাহাড়ি অঞ্চলে তুষারপাত হলে, উত্তর-পশ্চিম ভারতে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ে। তারপর ওই অঞ্চল থেকে কনকনে ঠান্ডা বাতাস পূর্ব ভারতের দিকে আসে। ফলে শীত অনুভূত হয়। ক্রমেই এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বভাস, জাওয়াদের শক্তি ক্ষয় হয়েছে। আপাতত গূর্ণিঝড় নয়, সেটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর জেরে বঙ্গে ক্ষয়-ক্ষতির সম্ভাবনা কম। তবে বৃষ্টি হবে। সোমবারেও চলবে বৃষ্টি। রবিবার উপকূলীয় জেলা সহ কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাতে বৃষ্টি হচ্ছে। সোমবার কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। বাকি দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। সোমবার বিকেলের পর থেকে আকাশ পরিস্কার হতে শুরু করবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন