Deucha Pachami coal block: সকাল থেকেই উত্তপ্ত এলাকা। বার বার বিক্ষোভের মুখে পড়ে মাঝপথে বন্ধ ভূমিপুজো। আদিবাসীদের বাধায় কয়লা উত্তোলন না করেই ফিরতে হল প্রশাসনকে। বৃহস্পতিবার এমনই ছবি ধরা পড়ল বীরভূমের দেউচা-পাঁচামি কয়লাখনি এলাকায়।
বুধবার কলকাতায় বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন থেকে বীরভূমের দেউচা-পাঁচামি কয়লাখনি থেকে কয়লা উত্তোলনের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো বৃহস্পতিবার বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়, জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ, রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম এলাকায় যান। সঙ্গে ছিল প্রচুর পুলিশ। দুপুর থেকে চাঁদা গ্রামের খাসজমিতে শুরু হয় ভূমিপুজো। আধঘণ্টা পর আদিবাসীদের একাংশের বাধায় পুজো বন্ধ করে দিতে হয় প্রশাসন। এমনকি কয়লা উত্তোলনের যন্ত্রাংশ ও কয়লা বোঝাই করতে আসা গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।
পুরোহিত সন্তু চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমি জানতাম না কোথায় পুজো করতে হবে। আমাকে বলা হয় শোঁতসালে পুজো হবে। পরে দেখলাম চাঁদা গ্রামে নিয়ে এসে পুজো করানো হচ্ছে। কীসের জন্য পুজো করা হচ্ছে সেটাও জানানো হয়নি। পুজো কিছুক্ষণ চলার পর আদিবাসীরা এসে বলেন পুজো বন্ধ করতে হবে। তাঁরা বলেন, প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পর পুজো হবে। ফলে আদিবাসীদের বাধায় মাঝপথে পুজো বন্ধ করতে হল। হোমযজ্ঞ হলে পুজো সম্পূর্ণ হত”।
আরও পড়ুন লক্ষ্মীবারে আরও লক্ষ্মীলাভ বাংলার, BGBS থেকে কত লগ্নি এল, টাকার অঙ্ক জানিয়ে দিলেন মমতা
চাঁদা গ্রামের বাসিন্দা পদ্মা বিত্তার, মিতালি দলুইরা বলেন, “আমরা সরকারি জমি বসবাস করি। আমরা ভূমিহীন, দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছি। কয়লা উত্তোলন হলে আমরা থাকব কোথায়। আমাদের কাজ দিতে হবে। থাকতে দিতে হবে”।
সিউড়ি ভারত জাকাত মাঝি পরগণা মহলের নেতা লক্ষ্মীরাম হেমব্রম বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী কিছুটা তাড়াহুড়ো করলেন। যে এলাকায় খনন কাজ শুরু করা হবে সেই এলাকার সবাইকে চাকরি এবং বাসস্থান দিয়ে কাজ শুরু করলে ভাল হত। অনেকের এখনও কাজ হয়নি। কিছু কিছু কাগজের জন্য চাকরি পাননি। ফলে সকলকে চাকরি দেওয়া হোক। সবার জমি আগে নেওয়া হোক। তারপর কাজ শুরু করলে ভাল হয়”।
জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, “পুজো হয়েছে। কয়লা উত্তোলনের যন্ত্রাংশ চালানো হয়েছে। বলা যেতে পারে আজ আমাদের আনন্দের দিন”।