Agnimitra Paul On RGKar Incident: আজ ৯ ফেব্রুয়ারি। একাদিকে আরজি কর কান্ডের ৬ মাস পূর্ণ হচ্ছে পাশাপাশি আজই আরজি করে নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের জন্মদিন। ৩১ পেরিয়ে ৩২-শে পা। আরজি কর হাসপাতালে তরুণী নিহত চিকিৎসকের জন্মদিন পালনের ডাক অভয়া মঞ্চের। অপরদিকে এদিন মেয়ের ন্যায় বিচারের দাবিতে ফের পথে নামার ডাক দিয়েছেন মৃতার বাবা-মা।
খাস কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজে নিজের কর্মক্ষেত্রে গত বছর ৯ অগাস্ট নির্মম ভাবে ধর্ষণ-খুন হতে হয় কর্মরত তরুণী চিকিৎসককে। এদিনই তার ৬ মাস পূর্ণ হচ্ছে। এদিকে আজই আরজি করে নিহত তরুণী চিকিৎসকের জন্মদিন। মেয়ের জন্মদিনে 'হার না মানা লড়াইয়ে'র ডাক দিয়েছেন নিহত তরুণী চিকিৎসকের পরিবার। মেয়ের ন্যায় বিচারের দাবিতে ফের একবার পথে নামার ডাক দিয়েছেন মৃতার মা-বাবা।
এদিন বিকেলে আরজি করে নির্যাতিতার জন্মদিন পালনের ডাক চিকিৎসক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের। এই উপলক্ষ্যে স্বাস্থ্য সচিব, বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার ও সিবিআই আধিকারিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি এদিন একাধিক নাগরিক সংগঠন ও চিকিৎসক সংগঠনের তরফে মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এদিনের কর্মসূচীতে সামিল হওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। নির্যাতিতার জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। এদিন দুপুর তিনটেয় কলেজ স্ট্রিট থেকে আরজি কর পর্যন্ত এক মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে।
নির্যাতিতার জন্মদিনেই ন্যায় বিচার ছিনিয়ে আনার অঙ্গীকার বিজেপি নেত্রী তথা বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের। তিনি এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, "মেয়েটিকে প্রথম জানলাম ৯ অগাস্ট। এরকম করে জানার কথা ছিলনা। ৯ অগাস্ট দলীয় অফিসে ছিলাম। হঠাৎ করে শুনলাম আরজি কর হাসপাতালে এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। খবরটা শুনে শিউরে উঠেছিলাম। কলকাতার সরকারি এক হাসপাতালে এই কান্ড হতে পারে কোনওদিন কল্পনায় ছিলনা। ৯ অগাস্ট এর সেই অভিশপ্ত সন্ধ্যে। হাসপাতালে গিয়ে দেখি তরুণী চিকিৎসকের বাবা, মা উদভ্রান্তের মতো ছোটাছুটি করছেন। তবুও মৃত মেয়ের কাছে যেতে দেওয়া হচ্ছেনা। পুলিশ, শাসক দল সবাই মিলে বাধা দিচ্ছে। যে কোনওভাবে দেহ পুড়িয়ে দিতে সবাই তৎপর। কিছুসময় আমিও কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গিয়েছিলাম। নির্যাতিতার বাবা, মায়ের সঙ্গে গিয়ে কথা বললাম। এরপরের ঘটনা আপনাদের হয়ত জানা। চেষ্টা করেছিলাম ওর মৃতদেহ রেখে দেওয়ার। পুলিশ ও শাসক দলের নেতারা জোর করে দেহ তুলে নিয়ে গিয়েছিল"।
তিনি আরও লিখেছেন, "৯ অগাস্ট থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি ক্যালেন্ডারের পাতা পাল্টাচ্ছে। আজ ওই ঘটনার ৬ মাস। বিচার এখনও অধরা। পুলিশ সব তথ্য, প্রমাণ নষ্ট করে দিয়েছিল। জনগণের আস্থা অর্জন করতে ব্যর্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাও। মেয়েটির বাবা, মানে বিচার চেয়ে ঘুরছেন দরজায় দরজায়। অন্যদিকে শাসক দল সঞ্জয়কে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে সব তদন্ত ধামাচাপা দিতে চায়। ৯ ফেব্রুয়ারি মেয়েটির জন্মদিন। আমরা যাকে অভয়া নামে চিনি। এই ৬ মাসে বহুবার ওর বাড়িতে ছুটে গিয়েছি। মেয়েটির বাবা, মার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। অভয়ার বিচারের দাবি শুধু ওই পরিবারের নয়। আপামর বাংলাবাসীর। শুধু একজন রাজনীতিবিদ নয়, দিদি হিসেবে বোনের বিচার ছিনিয়ে আনব। কথা দিয়েছি ওর বাবা, মাকে। চলুন আজ সবাই মিলে শপথ নিই। আমার বোনটির ন্যায় বিচার ছিনিয়ে আনবই" ।
"অভয়া তুমি নির্ভয়ে থাকো, বিচার তুমি পাবেই।
তোমাকে মেরে ফেলা নরখাদক গুলো ফাঁসি কাঠে যাবেই।"