Ahmedabad Plane Crash: আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২৫০ জনেরও বেশি মানুষের। দুর্ঘটনার ভয়াবহতায় বাকরুদ্ধ বিশ্ববাসী। বিমান দুর্ঘটনায় যারা তাদের আত্মীয়স্বজন হারিয়েছেন তারা কথা বলার মত পরিস্থিতিতে নেই। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা কেউ কেউ তাদের বাবা, মা, ছেলে বা মেয়েকে হারিয়েছেন। গতকালের এই বিমান দুর্ঘটনার মৃত্যু হয়েছে গুজরাটের আমরেলির বাসিন্দা অর্জুন ভাই পাটোলিয়ার, যিনি লন্ডনে প্রয়াত স্ত্রী'র অস্থি বিসর্জন দিতে এসেছিলেন গুজরাটে এসেছিলেন। বিমান দুর্ঘটনায় অর্জুনের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর এখন লন্ডনে থাকা দুই মেয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে।
মূলত গুজরাটের আমরেলির বাসিন্দা, অর্জুন ভাই পাটোলিয়া তার স্ত্রী এবং দুই সন্তানের সাথে লন্ডনে থাকতেন। তার স্ত্রী ভারতীবেন পাটোলিয়া চলতি বছর ২৬ মে লন্ডনে প্রয়াত হন। স্ত্রী'র শেষ ইচ্ছা অনুসারে চিতা-ভস্ম আমরেলি জেলার তার নিজ গ্রামের পুকুরে বিসর্জন দিতে এসেছিলেন অর্জুন। অবশেষে আর তার লন্ডন ফেরা হল না।
অর্জুন তার স্ত্রীর শেষ ইচ্ছা অনুসারে তার স্ত্রীর চিতাভস্ম বিসর্জন দিতে লন্ডন থেকে আমরেলি এসেছিলেন। স্ত্রীর চিতাভস্ম বিসর্জন দেওয়ার পর, অর্জুন এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে চেপে আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনে ফিরছিলেন। তবে দুর্ভাগ্যবশত, ওড়ার কিছু সময়ের মধ্যেই বিমান দুর্ঘটনায় অর্জুন ভাই পাটোলিয়ার মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া অর্জুন ভাই পাটোলিয়ার দুটি ছোট মেয়ে রয়েছে, যাদের মধ্যে একজনের বয়স ৮ বছর এবং অন্যজনের বয়স ৪ বছর। এই বিমান দুর্ঘটনায় এমন অনেক চোখে জল এনে দেওয়া কাহিনী সামনে আসছে। আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় প্রিয়জনকে হারিয়েছেন এমন প্রতিটি পরিবারের এক-একটি আবেগঘন কাহিনী আপনাকে কাঁদিয়ে দেবে।