Ahmedabad plane crash-Ramesh Vishwashkumar:সত্যিই তিনি 'মৃত্যুঞ্জয়ী', নাম বিশ্বাসকুমার রমেশ। অভিশপ্ত বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের একমাত্র জীবিত যাত্রী তিনিই। বরাতজোরে প্রাণে বেঁচেছেন বিমানযাত্রী বিশ্বাসকুমার রমেশ। ভেঙে পড়া বিমানের তিনিই একমাত্র জীবিত যাত্রী। অবিশ্বাস্যভাবে দুর্ঘটনার কবলে পড়েও সাক্ষাৎ মৃত্যু-মুখ থেকে ফিরেছেন এই যাত্রী। আহত হলেও প্রাণে বেঁচেছেন 'মৃত্যুঞ্জয়ী' বিশ্বাসকুমার রমেশ। ওই বিমানের ১১ নম্বর সিটের যাত্রী ছিলেন তিনি।
বরাতজোরে প্রাণে বাঁচলেন আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী বিমানের যাত্রী বিশ্বাসকুমার রমেশ। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ভেঙে পড়া বিমানের তিনিই একমাত্র জীবিত যাত্রী। বৃহস্পতিবার দুপুরে আমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে টেক অফের কিছু পরেই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীবাহী বিমান। ভেঙে পড়ার পরেই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়, তীব্র শব্দ বিস্ফোরণও ঘটে। বিমানে থাকা প্রায় সব যাত্রীরই মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ২৪১ জন যাত্রীই নিহত হয়েছেন। তবে সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন বিশ্বাসকুমার রমেশ নামে ওই যুবক। অভিশপ্ত সেই বিমানেরই যাত্রী ছিলেন তিনি।
দুর্ঘটনায় তিনিও জখম হয়েছেন। তবে কপাল জোরে প্রাণ রক্ষা পেয়েছে। এদিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেয় দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে যান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উদ্ধারকাজে যাতে আরও গতি আনা যায় সেব্যাপারে গুজারট প্রশাসনকে আবেদন জানিয়েছেন শাহ। প্রতিনিয়ত ঘটনার খোঁজ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে গুজরাট প্রশাসন।
আরও পড়ুন- Ahmedabad Plane Crash live news:অনেককেই চেনা যাচ্ছে না, হাসপাতালে ঝলসানো মৃতদেহের সারি, কারও কোমরে তখনও বাঁধা সিটবেল্ট
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুরে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনার পর আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালের ট্রমা সেন্টারে গুরুতরভাবে পোড়া মৃতদেহ আসতে দেখা গেছে, যাদের অনেককেই শনাক্ত করা পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। হাসপাতাল ক্যাম্পাসে অবস্থিত ইনস্টিটিউট অফ কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক ডাঃ প্রাঞ্জল মোদী দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, যারা বেঁচে ছিলেন, এমনকী যারা অচেতন অবস্থায় ছিলেন, তারাও গুরুতরভাবে পোড়া ছিলেন। এখনও স্পষ্ট নয় যে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা বিমানের যাত্রী নাকি বিমানটির বিধ্বস্ত স্থানের বাসিন্দা। "বেশিরভাগ রোগী (দুর্ঘটনার শিকার) গুরুতর আহত... তাদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না, মুখ পুড়ে গেছে, তাদের ত্বক অনেকাংশে পুড়ে গেছে... তারা অচেতন। আমাদের অগ্রাধিকার হলো তাদের বেঁচে থাকতে সাহায্য করা", নিহতদের পরিবারের সাথে দেখা করতে গিয়ে ডঃ মোদী বলেন।
আরও পড়ুন- plane crash: হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বিমান, বীভৎস দুর্ঘটনা! ঈশ্বরে বিশ্বাস দৃঢ় হয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর