Ahmedabad air india plane crash updates in Bengali: বিমান দুর্ঘটনার এক সপ্তাহ পরেও চলছে ডিএনএ মেলানোর কাজ, এখনও শনাক্ত হয়নি বহু শিশুর মৃতদেহ।
আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার এক সপ্তাহ কেটে গেলেও এখনও চলছে মৃতদেহ শনাক্তকরণের প্রক্রিয়া। ডিএনএ ম্যাচিংয়ের মাধ্যমে বুধবার (১৮ জুন) পর্যন্ত ১৫৯টি দেহ শনাক্ত করে স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ১২ জুন, লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট AI-171 দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বিমানে থাকা ২৪২ জন যাত্রী ও ক্রু মেম্বারদের মধ্যে মধ্যে মাত্র একজন বেঁচে যান।
দুর্ঘটনার ভয়াবহতা এতটাই ছিল যে বেশিরভাগ যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে। বিশেষত, শিশুদের দেহাবশেষ শনাক্ত করতে গিয়ে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের পড়তে হচ্ছে বড় সমস্যার মুখে। বিমানে থাকা ১৩ জন ১২ বছরের কম বয়সী শিশুর মধ্যে অনেকেই ৬ বছরের নিচে। এমনকি তিনজনের বয়স ২ বছরের কম।
শিশুদের দাঁতই শেষ ভরসা ফরেনসিক টিমের
গুজরাটের সরকারি ডেন্টাল কলেজের ফরেনসিক দন্ত বিশেষজ্ঞ ডঃ জয়শঙ্কর পিল্লাই জানিয়েছেন, ৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের ডিএনএ শনাক্তে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে কারণ দেহের আকার এবং তাপমাত্রার জন্য টিস্যু ও হাড়ের ক্ষয়। দাঁত একমাত্র মাধ্যম, কারণ তা অনেক বেশি তাপ সহ্য করতে পারে। তবে শিশুদের দুধের দাঁত আগুনে পুড়ে গয়েছে। ফলে, ফরেনসিক দলকে বাধ্য হয়ে চোয়াল ছেদ করে ভিতরের অংশের দাঁত সংগ্রহ করতে হচ্ছে।
প্রাক্তন আইপিএস এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ডঃ কেশব কুমার বলেছেন, “এই দুর্ঘটনা একরকম বিস্ফোরণের মতো ছিল, যেখানে ঘণ্টাখানেক ধরে ৫৪,০০০ লিটার জ্বালানি পুড়েছে। দেহ ছিন্নভিন্ন হলেও দাঁত থেকেও ডিএনএ মেলানো সম্ভব। তবে সেটা কিছুটা সময় সাপেক্ষ”। তিনি আরও বলেন, “ফরেনসিক হল খড়ের গাদায় সূঁচ খোঁজা, কিন্তু একবার মেলানো গেলে তা ১০০% নিশ্চিত হয়। ডিএনএ হাজার হাজার বছর টিকে থাকতে পারে।”