Ahmedabad Plane Crash: আর্শীবাদের পর লন্ডন আর ফেরা হল না! একসাথে থাকার স্বপ্ন অধারই রয়ে গেল!
আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় নিভে গেল এক দম্পতির সব স্বপ্ন, আশা-আকাঙ্খা। আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট AI171-এর মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২৫০ জনেরও বেশি মানুষের। যাত্রীদের মধ্যে কেউ'ই জানতেন না, এটাই তাদের জীবনের শেষ যাত্রা। তাঁদের মধ্যে ছিলেন সদ্য আর্শীবাদ পর্ব সেড়ে লন্ডনের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেওয়া এক দম্পতি—সুরাতের বিভূতি প্যাটেল এবং হার্দিক আভায়া।
বিভূতি ও হার্দিক লন্ডন থেকে ভারতে ফিরেছিলেন আর্শীবাদের অনুষ্ঠানের জন্য। সব কিছুই ঠিকঠাক চলছিল। পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুদের নিয়ে তারা সেলিব্রেট করেছেন। জীবনের এক নতুন অধ্যায় শুরুর আগে বেশ হাসি-খুশি'ই ছিলেন এই দম্পতি। এরপরই ১৩ জুন, বৃহস্পতিবার, তাঁরা এয়ার ইন্ডিয়ার ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বিমানে চেপে লন্ডনে ফেরার উদ্দেশ্যে আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে রওনা হন।
কিন্তু ভাগ্য যেন তাঁদের অন্য কিছু লিখে রেখেছিল। ওড়ার মাত্র কয়েক মিনিট পরেই বিমানটি ভেঙে পড়ে এবং আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বিমানে থাকা ২৪২ জনের মধ্যে অধিকাংশেরই মৃত্যু হয়েছে।বিভূতি ও হার্দিকের মৃতদেহ শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ পরীক্ষার কাজ চলছে।
দম্পতির মৃত্যুতে প্যাটেল ও আভায়া পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সম্প্রতি আর্শীবাদ পর্বে আনন্দে ভরা দুটি বাড়তে এখন শুধুই কান্না ও নিস্তব্ধতা। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, “ওরা তো স্বপ্ন নিয়ে ফিরেছিল, নতুন জীবন শুরু করবে বলে। জানতাম না, লন্ডনের ফ্লাইটটাই ওদের শেষ গন্তব্য হয়ে উঠবে।”
এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারটি লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। দুপুর ১:৩৮ নাগাদ উড্ডয়নের পরই, বিমানের প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দেয়। পাইলট 'Mayday' কল করার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানটি আহমেদাবাদের একটি আবাসিক এলাকার কাছে বিধ্বস্ত হয়। তারপর বিস্ফোরণ ও আগুনে পুড়ে যায় আস্ত বিমানটি।
যাত্রীদের মধ্যে অনেকের মৃতদেহ এতটাই বিকৃত হয়েছে যে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। যার কারণে প্রশাসন ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করছে। বিভূতি ও হার্দিকের পরিবার এখনও তাঁদের প্রিয়জনদের দেহ ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায়।