/indian-express-bangla/media/media_files/ZZpruukm4bx8tNQkx2KX.jpg)
Alipore zoo-Nandankanan zoo: নন্দনকানন চিড়িয়াখানা থেকে পশুগুলোকে আনা হয়েছে। (চিত্রঋণ- কলকাতা চিড়িয়াখানা)
Alipore zoo received different animals: আরজি কর আন্দোলনের মধ্যেই কলকাতায় এল নতুন অতিথিরা। ওড়িশার নন্দনকানন চিড়িয়াখানা থেকে কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানায় এল- বাঘ, সিংহ এবং ভালুক। আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, নন্দনকানন থেকে ৯টি প্রাণীকে আলিপুর চিড়িয়াখানায় আনা হয়েছে। তবে, এখনই ওই সব প্রাণীগুলোকে দর্শকদের সামনে আনা হবে না। আগে এখানকার আবহাওয়ার সঙ্গে প্রাণীগুলোকে খাপ খাইয়ে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। তারপর সেগুলোকে দর্শকদের সামনে উপস্থিত করা হবে।
আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, একজোড়া সিংহ, একটি স্ত্রী বাঘ, দুটি হিমালয়ান কালো ভালুক ও ৪টি মাউস ডিয়ার আনা হয়েছে নন্দনকানন থেকে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের ধারণা, এর মধ্যে সবচেয়ে নজর কাড়বে ইঁদুরের মতো দেখতে মাউস ডিয়ার। যা আসলে বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী। শান্ত এই প্রাণীটি চোরাশিকারিদের অত্যাচারে হারিয়ে যেতে বসেছে। সেই কারণে তাদের সংরক্ষণও জরুরি হয়ে পড়েছে।
যা জানিয়েছেন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ
আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত নন্দনকানন থেকে আনা পশুগুলোকে নির্দিষ্ট নাইট শেল্টারে রাখা হয়েছে। আসার পর থেকে প্রায় সপ্তাহখানেক নাইট শেল্টারেই থাকবে নতুন অতিথিরা। এই সব অতিথি আসার জেরে আলিপুর চিড়িয়াখানায় বাঘের সংখ্যা বেড়ে হল ৯। যার মধ্যে ৫টি বাঘিনি এবং ৪টি বাঘ। পাশাপাশি, সিংহের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬। এই সব সিংহের মধ্যে সিংহীর সংখ্যা ৪টি। আর সিংহের সংখ্যা ২টি। আলিপুর চিড়িয়াখানায় এতদিন দুটো পুরুষ হিমালয়ান কালো ভালুক ছিল। সেই সংখ্যা এবার বেড়ে হল ৪। কারণ, এবার আরও দুটি ভালুক আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন- তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর! পশ্চিমবঙ্গে কি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে?
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, বন দফতর এই নতুন অতিথিদের দত্তক নেওয়ার জন্য নাগরিকদের কাছে আবেদন জানিয়েছিল। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা লুপ্তপ্রায় মাউস ডিয়ারদের যাবতীয় খরচের ভার নিয়েছেন। এই ব্যাপারে বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেছেন, 'পুজোর আগে নতুন অতিথিরা আসায় দর্শকদের মধ্যে উৎসাহ বাড়বে বলেই আমরা মনে করছি। আমি নিজে চারটি মাউস ডিয়ারকে দত্তক নিয়েছি। আমার মত আরও কেউ যদি এই প্রাণীদের দত্তক নিতে চান, তাহলে তাঁরা নিতে পারেন। কোন ব্যক্তি কোন প্রাণীকে দত্তক নিচ্ছেন, সেই প্রাণীর খাঁচার সামনের বোর্ডে সেই ব্যক্তির নাম লেখা থাকবে।'