শুধু চুরি নয়, ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে বন্যাত্রাণের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছিল হরিশ্চন্দ্রপুরের এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের স্ত্রী আবার গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। অভিযুক্তকে গত গত কয়েক বছর ধরে গ্রামে দেখা যায়নি। কিন্তু সম্প্রতি সে গ্রামে ফিরতেই গ্রামবাসীদের অসন্তোষ মাথাচাড়া দেয়। ফলে শেষ রক্ষা হয়নি। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে দেখেই গণধোলাই দেয় গ্রামবাসীরা। শেষ পর্যন্ত পুলিশি হস্তক্ষেপে কোনওক্রমে মেলে রেহাই। আপাতত অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ।
উত্তেজিত গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ২০১৭ বন্যা ত্রাণের টাকা চুরি করেছেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বরোই গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যার স্বামী কুণালকান্তি দাস। ইতিমধ্যেই সেই অভিযোগের তদন্ত চলছে। পুলিশি তদন্তে দেখা যায় গ্রামেরই এক ব্যাক্তির নামে একাধিক অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা আত্মসাৎ করেছেন ওই তৃণমূল নেতা। এরপরই বেশ কিছু দিন গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু শুক্রবার সকালে তাঁকে এলাকায় ঘুরে বেড়াতে ধেখা যায়। গ্রেফতার না করে কেন তাঁকে ছেড়ে রাখা হয়েছে তা নিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে অসন্তোষ দানা বাঁধে।
আরও পড়ুন- করোনার ‘পাঠ’, বৃদ্ধকে চড় উঁচিয়ে শাসানি বিধায়কের
অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কুণাকান্তি দাসকে আটকে রেখে চলে গণধোলাই। খবর পেয়ে পুলিশ উদ্ধারে গেলে তাদেরকেও উত্তেজিত জনতার বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। পরে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে কুণালকে উদ্ধার করে। আপাতত থানায়তেই রয়েছেন অভিযুক্ত।
তৃণমূল নেতা কুনাল কান্তি দাস অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হরিশ্চন্দ্রপুরে তৃণমূল বিজেপি রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডলের দাবি, 'কাট মানির দল হয়ে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল । এই ধরনের ঘটনা হামেশাই ঘটছে। আমরা চাই এই ধরণের প্রতারক নেতাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হোক।' তৃণমূলের জেলা সভাপতি রহিম বক্সির কথায়, 'সম্পূর্ণ ঘটনার কথা না জেনে কিছু বলতে পারব না। তবে দল এরকম ঘটনাকে কখনোই সমর্থন করে না।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন