Unsafe drinking water:পুরাতন মালদা পুরসভার সরবরাহ করা পানীয় জলের সঙ্গে মিশে আসছে মুরগি-পায়রার পালক। আবার কখনও লাল জল বের হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বাড়ির কাজকর্মের জন্য জল সংগ্রহ করতে গেলেও পুরসভার ট্যাপ কল দিয়ে সরু সুতোর মতো জল পড়ছে। দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা চলতে থাকায় পুরাতন মালদা পুরসভার তরফ থেকে প্রয়োজনীয় কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। যার ফলে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের রসিলাদহ, লক্ষী কলোনি সহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে চরম অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।
বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, রীতিমতো ১৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে পুরসভা থেকে পানীয় জল সরবরাহের কানেকশন নিতে হয়েছে। তারপরও এত নোংরা জল যা ব্যবহার করা যাচ্ছে না। পুরসভার ট্যাপ কলের জল খাওয়ার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যার ফলে ২৫ থেকে ৩০ টাকা দিয়ে পরিশ্রুত জারবন্দি পানীয় জল কিনে খেতে হচ্ছে। পুরাতন মালদা পুরসভার বিভিন্ন এলাকায় কিছু বাড়িতে জল তৈরির কারখানা গড়িয়া গজে উঠেছে। সেই সব কারখানার সঙ্গে পুরসভার পানীয় জল সরবরাহ বিভাগের একাংশের আঁতাত থাকতে পারে বলেও অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। যার ফলে পুরসভার পানীয় জলে নোংরা মিশে আসায়, বাধ্য হয়ে সাধারণ মানুষকে টাকা দিয়ে জারবন্দি পানীয় জল কিনে খেতে হচ্ছে।
শুক্রবার পুরাতন মালদা পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের রসিলাদহ, লক্ষী কলোনি এলাকায় পানীয় জল পরিষেবা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুরসভার সরবরাহ করা পানীয় জলে মিশে আসছে মুরগি এবং পায়রার পালক। কখনো আবার ট্যাপকলের মুখ দিয়ে লাল জল বের হচ্ছে। সরু সুতোর মতোন জল পড়ায় একটা বালতি আধঘন্টা পেরিয়ে যাচ্ছে। সব দিক দিয়ে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের।
আরও পড়ুন- Kolkata News Live Update:দলেরই সিদ্ধান্ত নিয়ে লাগাতার 'বেফাঁস' মন্তব্য, হুমায়ুনকে থামাতে শেষমেশ কঠিন পদক্ষেপ তৃণমূলের
রসিলাদহ এলাকার বাসিন্দা রাজু দাস, শম্পা ঘোষ, মিলি চৌধুরিদের অভিযোগ, একেই তীব্র গরম। তারপর পুরসভার পানীয় জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ সময় সরু সুতোর মতো জল পড়ছে। পুরসভার ট্যাপকলের জলে মিশে আসছে মুরগি এবং পায়রার পালক। কখনও আবার লাল জল বের হচ্ছে। সবমিলিয়ে বাড়ির অন্যান্য কাজের জন্য পুরসভার সরবরাহ করা জল ব্যবহার করা যাচ্ছে না । এমনিতেই পুরসভার ট্যাপকলের জল মানুষ আর এখন পরিশ্রুত হিসেবে খান না। অধিকাংশ বাসিন্দারা টাকা দিয়ে পরিশ্রুত ২০ লিটারের জারবন্দি পানীয় জল ব্যবহার করছেন । এব্যাপারে পুরসভা কর্তৃপক্ষকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।
আরও পড়ুন- Ahmedabad Plane Crash 2025:একুশেই নিভল জীবনপ্রদীপ! বিমান দুর্ঘটনার আগের মুহূর্তে দিদিকে কী বলেছিলেন এয়ারহোস্টেস?
১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল দলের কাউন্সিলর প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী জানিয়েছেন, তীব্র গরমের মধ্যে কোনও কোনও ক্ষেত্রে জলস্তর মাটির নিচে নেমে যায়। ফলে পানীয় জল সরবরাহের ক্ষেত্রে একটু সমস্যা দেখা দিতে পারে । তবে পুরসভার পাইপ লাইনের সরবরাহ করা জল দিয়ে নোংরা বেরনোর অভিযোগ ভিত্তিহীন কথা। কারণ আগের থেকে এখন পুরসভার পানীয় জল পরিষেবা অনেকটা উন্নত হয়েছে। মহানন্দা নদীর জল ইতিমধ্যে পরিশ্রুত করে বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে কোথাও কোনও সমস্যা থাকলে অবশ্যই বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন- Smart Meter: ফের পুরনো পদ্ধতিতেই ফিরছে রাজ্য, তবে স্মার্ট মিটার না খুললে আগুনে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি