Smart meter: স্মার্ট মিটার (Smart Meter) নিয়ে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেও এখনও পুরোপুরি স্বস্তিতে নেই গ্রাহকদের একাংশ। মূলত যেসব গৃহস্থের বাড়িতে স্মার্ট মিটার বসানো হয়েছে তাঁরা সংশয়ের মধ্যে রয়েছে। স্মার্ট মিটারের বিরোধিতা করে প্রথম থেকেই আন্দোলন করছে অ্যাবেকা (ABECA)। সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বসানো স্মার্ট মিটার না খুললে তাঁরা জোরদার আন্দোলন চালিয়ে যাবে। কারণ ভরসা করার জায়গা নেই। বরং সংশয় আছে।
স্মার্ট মিটার বসানো নিয়ে রাজ্যবাসীর মনে প্রথম থেকেই আশঙ্কা ছিল। দূর নিয়ন্ত্রিত বিদ্যুতের বিল কি হবে, আগাম টাকা জমা না রাখলে বিদ্যুৎ পরিষেবার কি হবে, কত টাকা ফাইন হবে, নানা বিষয় নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি স্মার্ট মিটারের গ্রাহকরা বিদ্যুতের বিল নিয়ে অভিযোগ তুলতে শুরু করেছিল। বহু জায়গায় স্মার্ট মিটার বসাতে বাধা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বিদ্যুৎ দফতরে বিক্ষোভ চলেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রিপেড বিল থেকে পুরনো পোস্ট পেইড পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বিধানসভায় ঘোষণা করেছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরপ বিশ্বাস। কিন্তু প্রিপেড স্মার্ট মিটার থাকাকালীন পোস্ট পেইড বিল কতটা বিশ্বাসযোগ্য হবে তা নিয়ে ঘোর চিন্তা রয়েছে গ্রাহকদের বড় অংশের।
অল বেঙ্গল ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের (অ্যাবেকা) রাজ্য সম্পাদক সুব্রত বিশ্বাস বলেন, "আমরা প্রথম থেকেই স্মার্ট মিটার নিয়ে বিরোধিতা করে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছি। সাধারণ মানুষের মধ্যে এই মিটার বসানো নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ রয়েছে। তা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার বেশ কিছু ব্যবসায়িক ও গৃহস্থ বাড়িতে স্মার্ট মিটার বসিয়েছে। আমাদের দাবি, শুধু পোস্ট পেইড বিল পদ্ধতিতে ফিরে গেলে হবে না। স্মার্ট মিটার খুলে আগের ডিজিটাল মিটার বসাতে হবে। না হলে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। কারণ, মিটার বসানো থাকা মানেই সংশয় বয়ে নিয়ে বেরানো। তাছাড়া ৫-৭ বছরে স্মার্ট মিটার বদলাতে মোটা টাকা খসবে গ্রাহকদের। কমার্শিয়াল, ক্ষুদ্রশিল্পে ও গৃহস্থে যাদের এই স্মার্ট মিটার লাগানো হয়েছে সেগুলো খুলে নিতে হবে। সেক্ষেত্রে স্মার্ট মিটার পুরোপুরি খুলে না ফেললে আমাদের আন্দোলন চলতে থাকবে।"
আরও পড়ুন- Kolkata News Live Update:বাংলাদেশে রবি ঠাকুরের পৈতৃক ভিটেয় ভাঙচুর, ভারতের মনোভাব বুঝেই কী পদক্ষেপ ইউনূস সরকারের?
পোস্ট পেইডের পরিবর্তে প্রিপেড বিল পদ্ধতি চালুর কথা ঘোষণা করা হলেও এখন আশঙ্কার মূল জায়গা বসানো প্রিপেইড স্মার্ট মিটার। রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, সামনে ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচন, সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকার ঝুঁকি নিতে নারাজ। সাধারণ মানুষের ক্ষোভের কথা আঁচ করে স্মার্ট মিটার বসানো বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য সরকার। অ্যাবেকার আশঙ্কা, "এটা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প। ভবিষ্যতে পোস্ট পেইড থেকে প্রিপেইড হয়ে যেতেই পারে। সারা দেশের ব্যাপার। অন্য রাজ্যে হবে আর এই রাজ্যে হবে না।"
আরও পড়ুন- Ahmedabad Plane Crash 2025: নিজের রাজ্যে চাকরির সাধ অধরাই রইল! বিমান দুর্ঘটনায় নার্সের মৃত্যুতে এক স্বপ্ন ভেঙে চুরমার!