Advertisment

ফের 'মাওবাদী' পোস্টার মেদিনীপুরে, এলাকায় উত্তেজনা

মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ, জঙ্গলমহল থেকে সিআরপিএফ ক্যাম্প তুলে নেওয়া, ছত্রধর মাহাতোর নিঃশর্ত মুক্তি, তৃণমূল নেতাদের হুঁশিয়ারি প্রভৃতি বিষয় সম্বলিত এই পোস্টার।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

মাওবাদী পোস্টার ঘিরে জঙ্গলমহলে উত্তেজনা

পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর সদর ব্লকে মুড়াকাটা গ্রামের খেরারবাঁধ এলাকায় মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ, জঙ্গলমহল থেকে সিআরপিএফ ক্যাম্প তুলে নেওয়া, ছত্রধর মাহাতোর নিঃশর্ত মুক্তি, তৃণমূল নেতাদের হুঁশিয়ারি প্রভৃতি বিষয় সম্বলিত এই পোস্টার, সাদা কাগজে লাল কালি দিয়ে হাতে লেখা।

Advertisment

publive-image পোস্টারে উঠে এসেছে পুরনো দাবিও

স্বাভাবিকভাবেই স্থানীয় বাসিন্দারা পোস্টারগুলি প্রথম দেখতে পান। পোস্টারে মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি এবং ঝাড়গ্রামের বিধায়ক সুকুমার হাঁসদার নাম উল্লেখ করে হুঁশিয়ারি জারি করা হয়েছে। জঙ্গলমহলের মানুষকে তৃণমূলের নেতারা ১০০ দিনের কাজ বলে ৫০ দিন কাজ দিচ্ছেন, এবং বাকি ৫০ দিনের কাজের টাকা চুরি করে নিচ্ছেন নেতারা, এমন অভিযোগও করা হয়েছে পোস্টারে । প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা প্রাপকের কাছ থেকে তৃণমূল নেতারা নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে পোস্টারে।

আরও পড়ুন: শবরদের জন্য বিশেষ প্রকল্প, সুবিধা পাবে বীরহোড়-টোটোরাও

উল্লেখ্য, মাত্র এক মাস আগে মুড়াকাটার জঙ্গলের অন্য প্রান্ত থেকে মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধার হয়েছিল। সেই পোস্টারে রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী এবং শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতোকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। শনিবার মুড়াকাটা থেকে যে মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টারগুলি উদ্ধার হয়েছে, তাতে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এলাকারই কেউ কেউ এসব পোস্টার ছড়িয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করার চেষ্টা করতে পারে। কিভাবে বা কারা এসব করছে তার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

publive-image স্থানীয় নেতারাও মাওবাদী পোস্টারে হুঁশিয়ারি পেয়েছেন

জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি বললেন, "জঙ্গলমহলে মাওবাদী বলে এখন কিছু নেই, আমাদের ধারণা বিজেপি পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনা তৈরীর জন্য এই ধরনের কাজ করে থাকতে পারে।"

Maoist Mamata Banerjee
Advertisment