কার্টুনকাণ্ডে দায়ের হওয়া মামলা থেকে শেষমেশ অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্রকে অব্যাহতি দিল আলিপুর আদালত। এক দশকেরও বেশি সময় পরে পূর্ব যাদবপুর থানায় দায়ের হওয়া মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেলেন অম্বিকেশ মহাপাত্র। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মুকুল রায়কে নিয়ে একটি কার্টুন প্রকাশ্যে আনার জেরেই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল। তবে এক দশকেরও বেশি সময় পর অবশেষে সেই মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেলেন অম্বিকেশ মহাপাত্র।
২০১২ সালে একটি ব্যঙ্গচিত্র ঘিরে যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুকুল রায়কে নিয়ে একটি কাল্পনিক কথোপকথন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই ব্যঙ্গচিত্রটিই শেয়ার করেছিলেন অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র। এর পরেই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয় পূর্ব যাদবপুর থানায়। তাঁকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। যদিও পরে তিনি জামিন পেয়ে যান। তবে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা কিন্তু চলতেই থাকে।
আরও পড়ুন- বিরাট প্রতারণার পর্দাফাঁস সময়ের অপেক্ষা? সাতসকালে তৃণমূল নেতার ফ্ল্যাটে ED
২০২১ সালে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা খারিজের জন্য আলিপুর আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র। তবে আদালত তাঁর সেই আবেদন কানেই তোলেনি। পরে তিনি ফের আদালতে আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনেই অবশেষে দীর্ঘ ১১ বছর পর মিলল মু্ক্তি। কার্টুনকাণ্ডে দায়ের হওয়া মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেলেন অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র।
এক দশকেরও বেশি সময় পর কার্টুনকাণ্ডে দায়ের হওয়া মামলা থেকে নিষ্কৃতি মেলায় স্বভাবতই খুশি অম্বিকেশবাবু নিজেও। তবে ফের একবার তাঁর গ্রেফতারি পর্ব নিয়ে সংবাদমাধ্যমে সোচ্চার অম্বিকেশ মহাপাত্র। তাঁর অভিযোগ, 'গ্রেফতারের আগে শাসকদলের যোগসাজশে মারধর করা হয়েছিল। নিউ গড়িয়া সমবায় আবাসনে হুমকি, গালাগাল দেওয়া হয়। যে ধারায় চার্জশিট দেওয়া হয়, সেই ধারাটি ২০১৫-তে বাতিল করে সুপ্রিম কোর্ট। তারপরেও নানা অছিলায় বেআইনিভাবে মামলা চালিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।'