/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/07/partha-bjp.jpg)
পদ্ম নিশানায় মমতা সরকার।
মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারিত পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দলীয় পদ থেকেও কী বহিষ্কার করা হবে তাঁকে? মেট্রোপলিটানের দলীয় দফতরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের শৃঙ্খলা-রক্ষা কমিটির বৈঠক চলছে। পার্থকে ছেঁটে ফেলে ড্য়ামেজ কন্ট্রোলে মরিয়া জোড়া-ফুল। শাসক শবিরের দাবি, দোষ করলে কাউকে রেয়াত করেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের এই দাবিকেই ভোঁতা করতে আসরে বিজেপি।
পদ্ম শিবিরের বাংলার পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য পার্থকে অপসারণের পর পরই টুইট করেছেন। সেখানে লিখেছেন, 'পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি ক্রমশ প্রমাণের পথে। এই অবস্থায় পার্থ চ্যাটার্জিকে বরখাস্ত করা ছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অন্য কোনও উপায় ছিল না। এসএসসি কেলেঙ্কারিতে বেশ কিছু অনিয়ম ধরা পড়েছে। ফলে পার্থকে অপসারণ করে তিনি মহৎ কাজ করেননি। যদিও এটাও অপরাধ স্বীকার। পার্থ এখনও টিএমসির মহাসচিব পদে বহাল।'
আরও পড়ুন-বারুইপুরে পার্থের বাগানবাড়ি থেকে নথি পাচার? বাম বিক্ষোভে শোরগোল
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণের পর রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, 'পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বলির পাঁঠা করা হল। একা পার্থ জড়িত নন। পুরো মন্ত্রিসভা জড়িত। দায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মুখ্যমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। ফের ভোট হবে। তারপর দেখা যাবে মানুষ কাকে চায়।'
Mamata Banerjee had no option but to sack Partha Chaterjee amidst mounting evidence. She has done no favour because several irregularities have been reported in the SSC Scam and proceeds of crime uncovered. This is an admission of crime though. Partha still remains TMC's GS.
— Amit Malviya (@amitmalviya) July 28, 2022
গত শুক্রবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তারপরও মন্তরিসভা হোক বা দলীয় পদ থেকে পার্থকে বরখাস্ত করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, আইনিভাবে দোষ প্রমাণ হলেই পদক্ষেপ করা হবে। কিন্তু, গ্রেফতারির সময় তৃণমূল মহাসচিবের মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে ফোন, বেলঘরিয়ায় অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি নগদ, সোনা, রূপো, দলিল উদ্ধারে ঘটনা অন্য খাতে মোড় নিতে শুরু করে।
জনমানসে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। কলঙ্কের দাগ লাগে জোড়া-ফুল ও মমতা সরকারের বিরুদ্ধে। ঘটনা মাথা হেঁট হয়ে যাওয়ার মত বলে দাবি করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এরপরই শুক্রবার সকাল থেকে পার্থকে দলীয় পদ ও মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর দাবিতে সরব হন কুণাল, দেবাংশু, বিশ্বজিৎ দেবরা।
আরও পড়ুন-‘প্রায়ই আসতেন ফ্ল্যাটে, টাকার পাহাড়ের মালিক পার্থই’, সব ‘ফাঁস’ করলেন অর্পিতা
এর কয়েক ঘন্টার মধ্যে দলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির বৈঠক ডাকেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকই এখন চলছে। মন্ত্রিত্বের পর কী এবার দলীয় পদাধিকার খোয়াবেন পার্থ? সেদিকেই এখন নজর।