ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাংলার উপকূলবর্তী জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

আজকের মধ্য়েই বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বুধবার ওই এলাকাগুলিতে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর সঞ্জীব বন্দ্য়োপাধ্য়ায় জানালেন, ''ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ১৯ মে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি ও কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ২০ তারিখ বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরনায় অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে''।

১৯ মে বিকেল থেকে পশ্চিমবঙ্গ উপকূলবর্তী এলাকায় ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৫৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। হাওড়ার সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৬৫ কিমি। ২০ মে হাওড়ার বেগ আরও বাড়তে পারে। ওই দিন হাওড়ার বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৭৫-৮৫ কিমি, সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৯৫ কিমি।

আরও পড়ুন: Cyclone Amphan Live Updates: সাগরে ফুঁসছে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়, আতঙ্কে কাঁপছে বাংলা

আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, শনিবার দুপুর পর্যন্ত ওই গভীর নিম্নচাপটি ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ১০৬০ কিমি দূরে রয়েছে। দিঘা থেকে ১২২০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে নিম্নচাপটি। রবিবার পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিক পর্যন্ত অগ্রসর হবে। এরপর অভিমুখ বদলে ১৮ থেকে ২০ তারিখের মধ্য়ে উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে।

আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুসারে, ওই নিম্নচাপটি ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে প্রায় ১১০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপর ঘনীভূত হওয়া নিম্নচাপ ১০. ৪ ডিগ্রি অক্ষাংশ এবং ৮৭.০ ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশ থেকে ক্রমশই শক্তি বাড়িয়ে ওড়িশার দিকে এগোচ্ছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন