সুপার সাইক্লোন আমফানের দাপটে তছনছ হয়ে গিয়েছে দুই ২৪ পরগনার সুন্দরবন এলাকা। কাকদ্বীপ, নামখানা সহ দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে এখন শুধুই ধ্বংসের ছবি। একে লকডাউন, তার উপর যোগাযোগ ছিন্ন হয়েছে। খুঁটি উপড়ে যাওয়ায় নেই বিদ্যুৎ। এই অবস্থায় দুর্গতদের রাগ গিয়ে পড়েছে সরকারি কর্মীদের উপর। বিপদ আঁচ করতে পেরেই মানুষের অসন্তোষ প্রশমনে মাঠে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। 'ধৈর্য্য' ধরার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু, তাতেও চিঁড়ে ভেজেনি। কাকদ্বীপ, নামখানার মানুষের অভিযোগ, ত্রাণ-তো দুরস্ত, দুর্গতদের পাশে থাকার প্রয়োজন বোধ করেন নি সরকারি কর্মী বা শাসক দলের নেতারা।
বুধবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যেন ধ্বংসলীলা চালিয়েছে আমফান। কাকদ্বীপ, বকখালি - প্রায় ৩৯ কিলোমিটার অংশ জুড়ে তারই ছবি স্পষ্ট। রাস্তার ধারের একটি গাছও আস্ত নেই। উপড়ে পড়ে গিয়েছে বহু বিদ্যুতের খুঁটি। মানুষের প্রাণের সঙ্গে নষ্ট হয়েছে ফসল। কাঁচা বাড়়ির সঙ্গেই ক্ষতিগ্রস্ত পাকা বাড়িও। বহু বাড়ির অ্যাসবেস্টসের চাল উড়ে গিয়েছে। সব হারিয়ে এখন শুধুই হাহাকার সেখানে।
আরও পড়ুন- ৩০ মে পর্যন্ত কলকাতায় অন্তর্দেশীয় উড়ান বন্ধের আর্জি মমতার
কাকদ্বীপের মৎস্যজীবী বছর ষাটেকের সুধীর দাস বলেন, "লকডাউনের শুরু থেকে আমরা বসে রয়েছি। সঞ্চয়ের সব টাকা নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে। এখন যে কী করব কিছুই জানি না। দুর্যোগের পর প্রশাসন বা শাসক দলের কেউ কোনও খোঁজখবর নেয়নি। আমরা এভাবে বাঁচব কী করে?" নামখানার বাসিন্দা গৌরী মণ্ডলের কথায়, "আমফানে বাড়ি সম্পূর্ণ ধসে গিয়েছে। ত্রাণ না পেলে বেঁচে থাকাই মুশকিল।"
জেলা প্রশাসন উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। তবে বিদ্যুৎ না থাকায় তা করতে অসুবিধা হচ্ছে বলে দাবি উদ্ধারকারীদের। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, "সাইক্লোনের তাণ্ডব যে এত প্রবল হতে পারে, তা ধারণা ছিল না। উদ্ধার, ত্রাণ ও পুনর্গঠনের কাজে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে। কিন্তু, আমরা দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছি।"
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন