আনিস খানের রহস্যমৃত্যু মামলায় বিরাট পদক্ষেপ আদালতের। হাওড়ার আমতার ছাত্রনেতার মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হইকোর্ট। আনিস মৃত্যুতে সিটের তদন্তেই ভরসা রাখল উচ্চ আদালত। এমনকী আনিস মৃত্যু মামলা হস্তান্তরেরও কোনও প্রয়োজন নেই বলেও এদিন জানিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা আনিস খানের রহস্যমৃত্যু মামলায় নয়া মোড়। ছেলের মৃত্যুতে শুরু থেকে সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব ছিলেন আনিসের বাবা। একই দাবি ছিল পরিবারে অন্যদেরও। যদিও আনিস খান মৃত্যু মামলার তদন্ত হাতে নেয় রাজ্য পুলিশের সিট। আনিসের মৃত্যু মামলা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। তাঁর পরিবারের সদস্যরই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
যদিও আনিস মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের আবেদন এদিন খারিজ করে দিয়েছে কবকাতা হাইকোর্ট। এই মামলার তদন্ত সিটই করবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন বিচতারপতি রাজশেখর মান্থা। এই মামলা হস্তান্তরের কোনও প্রয়োজন নেই বলেও এদিন জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।
চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি আলিয়ার ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে খুন করেছে পুলিশ। যদিও সিটের তদন্তে খুনের প্রমাণ মেলেনি। ছাদ থেকে পড়ে গিয়েই আনিস খানের মৃত্যু হয়েছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। তবে এক্ষেত্রে পুলিশের গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে।
আরও পড়ুন- ক্ষমা চাইতে এসে সটান গুলি, হাড় হিম কাণ্ডে কলকাতায় হুলস্থূল
আনিস মৃত্যুতে উত্তাল হয় শহর কলকাতা। ছাত্রনেতার মৃত্যুতে রাজ্য সরকারের পুলিশ প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলে সোচ্চার হয় যুব সমাজের একটি বড় অংশ। দিনের পর দিন কলকাতা শহর ছাড়াও হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় চলে অবরোধ-বিক্ষোভ। আনিস-মৃত্যুর প্রতিবাদে চলা বিক্ষোভ সামাল দিতে একটা সময় হিমশিম দশা হয় পুলিশেরও। পরপর বেশ কয়েকটি দিন কলকাতার আনাচে-কানাচে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধেও জড়াতে দেখা গিয়েছে বিক্ষোভকারীদের।
এদিকে আনিসের মৃত্যুর তদন্তে নেমে তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলে সিট। এরই মধ্যে আনিস মৃত্যুতে সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিল তাঁর পরিবার। যদিও আজ তাঁদের সিবিআই তদন্তের সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে উচ্চ আদালত।