তাকলাগানো প্রতিভা! ঠাকুর তৈরিতে হাতেখড়িই হয়নি, এহেন খুদের দারুণ কীর্তি চর্চায়!

ছোট থেকেই মাটি দিয়ে শিল্পকর্ম সৃষ্টির নেশা চেপে বসে খুদে মনে।

ছোট থেকেই মাটি দিয়ে শিল্পকর্ম সৃষ্টির নেশা চেপে বসে খুদে মনে।

author-image
Joyprakash Das
New Update
Ankush Gain of Burdwan surprised everyone by making Durga Pratima

নিজের হাতে তৈরি দশভুজার মূর্তি নিয়ে অঙ্কুশ গাইন।

বংশের কেউ কখনও মাটির কাজ করেননি। কিন্তু ছোট্ট থেকেই মাটি দিয়ে শিল্পকর্ম সৃষ্টির নেশা চেপে বসেছে খুদে অঙ্কুশের। ছোটো থেকে তার জল দিয়ে মাটি মাখামাখি করে নানা দেবদেবীর মূর্তি সৃষ্টির চেষ্টা ছিল। অঙ্কুশের এই উদ্যোগের পাশে বরাবর থেকেছে তার বাবা-মা।

Advertisment

ছোট থেকেই মাটি নিয়ে প্রতিমা তৈরির অসম্ভব ঝোঁক। এবার ছোট্ট দুর্গাপ্রতিমা বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ১১ বছরের অঙ্কুশ গাইন। বর্ধমান শহরের ঠাকুরপল্লির অঙ্কুশের নেশাই কাদা-মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরি করা। কারও কাছে না শিখেই ৫-৬ বছর বয়স থেকেই মাটির মূর্তি তৈরি করার অদম্য নেশা খুদে অঙ্কুশের। এখন সেই প্রচেষ্টায় রূপ পেয়েছে মা দুর্গার অপরূপ মূর্তির।

অঙ্কুশের তৈরি দুর্গাপ্রতিমা লম্বায় ২৪ ইঞ্চি, চওড়া ১৮ ইঞ্চি। অঙ্কুশ বলে, 'এই প্রতিমা তৈরি করতে ১৫ দিন লেগেছে। আমার মাটি দিয়ে কাজ করতে ভালো লাগে। ছোট থেকেই করছি। বাবা-মা কখনও বারণ করেনি, বরং আমাকে উৎসাহ দিয়েছে।' অঙ্কুশের বাবা অনুপম গাইন বলেন, 'ছেলে মাটির জিনিস বানাতে ভালবাসে। সবুজ সংঘে এই দুর্গাপ্রতিমা তৈরি করেছিল। সেই ছবি দেখে প্রতিমা তৈরি করেছে। ছোট থেকেই মাটির কাজের প্রতি প্রচণ্ড ঝোঁক। তা দেখেই এক আর্টের শিক্ষকের স্কুলে ভর্তি করিয়েছি।'

আরও পড়ুন- দানা বাঁধছে নিম্নচাপ! পুজোর মধ্যেই আবহাওয়ায় তুমুল বদল

Advertisment

অনুপম বলেন, 'ছেলের তৈরি মাটির এই প্রতিমা পাড়ার ঠাকুরপল্লি স্বামীজি সংঘের দুর্গা মণ্ডপে স্থান পেয়েছে। ছেলে আমাকে বলেছে ক্লাবে প্রতিমা থাকলে অনেক মানুষ দেখতে পাবে।' খুদে মৃৎ শিল্পীর কালারফুল দুর্গাপ্রতিমা দেখে এলাকার মানুষজনও প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বড় দুর্গাপ্রতিমার সঙ্গে দর্শনার্থীদের নজর কেড়েছে অঙ্কুশের তৈরি মূর্তিও।

Purba Bardhaman Durgapuja West Bengal