Wonder Girl: অষ্টম শ্রেণির এই ছাত্রীর অভাবনীয় সাফল্যে গর্বে বুক চওড়া বাবা-মা ও আত্মীয়স্বজনদের। মেয়ে বড় হয়ে আগামীদিনে যা করতে চাইবে তাতেই সমর্থন রয়েছে বাবা-মার। প্রতিবেশীরাও পড়ুয়ার এমন সাফল্যে গর্বিত।
Wonder Girl: অষ্টম শ্রেণির এই ছাত্রীর অভাবনীয় সাফল্যে গর্বে বুক চওড়া বাবা-মা ও আত্মীয়স্বজনদের। মেয়ে বড় হয়ে আগামীদিনে যা করতে চাইবে তাতেই সমর্থন রয়েছে বাবা-মার। প্রতিবেশীরাও পড়ুয়ার এমন সাফল্যে গর্বিত।
Wonder Girl: অসাধারণ দক্ষতায় শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি মুঠোয় পুরল এক নাবালিকা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘার (Digha) কাছেই রামনগরের এই কীর্তিময়ীর এমন সাফল্য কাহিনী রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে। অষ্টম শ্রেণির এই পড়ুয়ার এমন সাফল্যে তাঁর পরিবারের সদস্যরা তো বটেই প্রতিবেশীরাও প্রশংসায় পঞ্চমুখ। লক্ষ্য স্থির রেখে জীবনে আরও অনেক দূর এগিয়ে যেতে চায় অবাক-কন্যে।
Advertisment
হস্তাক্ষর রত্ন অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় রূপোর পদক জিতেছেন রামনগরের ছাত্রী অন্তরা জানা। অল বেঙ্গল আর্ট সোসাইটির (All Bengal Art Society) উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় ব্লক চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রামনগরের অন্তরা জানা। সাধারণ মধ্যবিত্ত বাড়ি থেকে উঠে এসে ব্লকস্তর থেকে শুরু করে জেলা ও রাজ্যস্তরের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় পুরস্কার জিতেছে অন্তরা।
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অন্তরা জানা।
কাঁথিতে (Contai) অনুষ্ঠিত হয়েছিল হস্তাক্ষর রত্ন অন্বেষণ প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল অল বেঙ্গল আর্ট সোসাইটি। প্রতিযোগিতায় প্রত্যেকটি ব্লক থেকে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানাধিকারীকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় হস্তাক্ষরের উপর প্রথম স্থান অধিকার করেছে রামনগর-১ ব্লকের তালগাছাড়ি ১ পঞ্চায়েতের তালগাছাড়ি গ্রামের বাসিন্দা অন্তরা জানা (Antara Jana)। নিদারুণ দক্ষতায় রৌপ পদক জিতেছে সে। এই প্রতিযোগিতায় বহু ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করেছিল।
রামনগর বালিকা বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে অন্তরা। এই বয়সেই এমন অসাধারণ সাফল্য ঝুলিতে পুরে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত সে। অন্তরার বাবা পেশায় একজন ব্যবসায়ী ও মা গৃহবধূ। অন্তরার দাদু লেখালেখির কাজ করেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর নাতনি একাধিক অনুষ্ঠানে গান গেয়েও পুরস্কার পেয়েছে। অন্তরা নিজেও বড় হয়ে গায়িকাই হতে চায়। মেয়েটির কথায়, "হস্তাক্ষর ও আঁকা শিখি। কিন্তু আমি বড় হয়ে গায়িকা হতে চাই।" তার মা বলেছেন, "আমি মেয়ের পক্ষেই আছি। সে গায়িকা হতে চায়। তার যখন যা দরকার হয় তার পাশে থেকে সাহায্য করার চেষ্টা করছি। গানের প্রতি ওর ঝোঁক আছে।"
এদিকে, রামনগর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য দীপক সার বলেন, "অন্তরা জানা রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পেয়েছে। তাকে আমি শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আগামীদিনে সে যাতে জাতীয়স্তরের প্রতিযোগিতাতেও সুযোগ পায় সেই কামনা করছি। ও আরও এগিয়ে যাক। শুধু হস্তাক্ষর প্রতিযোগিতা নয়, সংগীত প্রতিযোগিতা থেকে শুরু করে অঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং ক্রীড়া ক্ষেত্রেও সে সুযোগ পেয়েছিল। আমি তার সার্বিক সাফল্য কামনা করি।"