এবার বোলপুরের ভোলে ব্যোম রাইস মিলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি খুলে দেওয়ার আর্জি জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের। বৃহস্পতিবার তিহাড় জেল থেকে ভার্চুয়াল শুনানিতে হাজির হয়েছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের ওই শুনানিতেই তিনি এই আবেদন করেছেন। এছাড়াও তিহাড় থেকে আসানসোল জেলে তাঁকে ফেরানোর জন্যও আদালতে আবেদন করেছিলেন কেষ্ট। এদিন আদালত তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।
তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন গরু পাচার মামলায় প্রধান অভিযুক্ত বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বৃহস্পতিবার গরু পাচারের সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলার শুনানি চলে। তিহাড়ে বসেই আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতের সেই শুনানিতে ভার্চুয়ালি হাজির হন একদা বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল।
আরও পড়ুন- বাংলায় রামনবমীতে অশান্তি: কোমর বেঁধে তদন্তে নামল NIA, দায়ের FIR
শুনানির সময়ে বিচারকের উদ্দেশ্যে তিনি আবেদনে জানান, ভোলে ব্যোম রাইস মিলে প্রায় ২০০ জন শ্রমিক কাজ করেন। রাইস মিলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি বন্ধ থাকার জেরে সেখানকার কর্মীদের বেতন হচ্ছে না। আদালত যাতে ওই অ্যাকাউন্টিটি খুলে দিতে নির্দেশ দেয় সেব্যাপারে আবেদন জানিয়েছেন কেষ্ট।
আরও পড়ুন- এবেলায় গিয়ে চাইলে ওবেলায় ফিরুন, হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত চালু কবে থেকে? জানুন দিনক্ষণ
যদিও এদিন বিচারক তাঁকে জানিয়েছেন, এব্যাপরে আইনজীবীর মাধ্যমে তাঁকে আবেদন জানাতে হবে। উল্টোদিকে, তিহাড় জেল থেকে আবারও আসানসোল জেলে ফিরতে চেয়ে আবেদন করেছিলন অনুব্রত মণ্ডল। এদিন তাঁর সেই আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। মেয়ে সুকন্যার সঙ্গে আপাতত তিহাড়েই থাকতে হচ্ছে তাঁকে।
আরও পড়ুন- ধেয়ে আসছেই ‘মোকা’, প্রায় তৈরি অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়, ৩ জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস
সিবিআই সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এদিন আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অনুব্রত মণ্ডলের কাছে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। বিচারকের প্রশ্নের উত্তরে অনুব্রত জানিয়েছেন তাঁর শরীর অত্যন্ত খারাপ। জেলের চিকিৎসকরাই তাঁকে দেখছেন। জেলে মেডিক্যাল ওয়ার্ডে তিনি আছেন বলেও জানিয়েছেন।