বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মন্ডল গরুপাচার কাণ্ডে জেলবন্দি রয়েছেন ২ মাস পার হয়ে গিয়েছে। গ্রেফতার হওয়ার ৭দিনের মধ্যে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে শুধু পদ থেকে অপসারাতি করা হয়নি তাঁকে মন্ত্রীত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে অনুব্রত মন্ডলকে এখনও সভাপতি পদ থেকে অভ্যাহতি দেয়নি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সাময়িক বিকল্প হিসাবে কারও নামও দলের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়নি। জেলবন্দি থাকলেও তাঁর মতামত নিয়েই যে সাংগঠনিক কাজকর্ম চলছে সেকথা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ। বৃহস্পতিবার শতাব্দী রায় বলেন, "তিনি সশরীরে নেই ঠিকই। তবে অনুব্রত মণ্ডলের মতামত নিয়েই দল চলছে।"
শুক্রবার বীরভূমের রামপুরহাট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে তৃণমূলের রামপুরহাট শহর বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন শতাব্দী রায়। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, দলের জেলা মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায়। বিজয়া সম্মিলনী শেষে শতাব্দীর স্পষ্ট কথা, "অনুব্রত মণ্ডলকে কেউ ভুলে যায়নি। তাঁকে সামনে রেখেই দল চলছে। তাঁর মতামত নিয়েই দল চলছে"। তবে গরুপাচার কাণ্ডে তাঁর সাক্ষী প্রসঙ্গে শতাব্দী বলেন, "এই নিয়ে বিরোধীরা মহাভারত রচনা করছে। আমার বেশ মজা লাগছে।" অনুব্রত মন্ডলের সঙ্গে শতাব্দী রায়ের অম্লমধূর সম্পর্ক নিয়ে একটা সময়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা ছিল। এ বিষয়টাকেও পাত্তা দিতে নারাজ অভিনেত্রী সাংসদ।
শতাব্দীর মন্তব্য নিয়ে যথারীতি বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সুযোগ পেয়েই কড়া আক্রমণের পথে হেঁটেছে বিজেপি। বীরভূম বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, "গরু পাচার মামলায় অনুব্রত আসানসোল জেলে রয়েছেন। তিনি জেলে বসেই দল চালাচ্ছেন। আমরা আগেই এই অভিযোগ করেছিলাম। শতাব্দীর মন্তব্য সেই দাবিকেই সিলমোহর দিল।" বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, অনুব্রত মণ্ডলকে অন্য কোনও রাজ্যে রেখে বিচার চলুক। এদিকে তৃণমূল জেলা মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, "দলের পূর্ব ঘোষিত অনুষ্ঠানগুলি যথারীতি হচ্ছে। আমরা অনুব্রত মণ্ডলের উন্নয়নের বার্তাকে সামনে রেখেই এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা যে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে এদিনের উপস্থিতি তার প্রমাণ"।