আসানসোলে সিবিআই আদালতে হাজিরা দিতে যাওয়ার পথে অনুব্রতের গাড়ি থামল শক্তিগড়ে। গরুপাচার মামলায় ধৃত বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল চার দিন সিবিআই হেফাজতে থাকার পর বুধবার তাঁকে আসানসোলের সিবিআই আদালতে তোলা হয়।
২ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে কলকাতা থেকে আসানসোল যাওয়ার পথে অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে যাওয়ার সময় সিবিআইয়ের গাড়ি থামে জাতীয় সড়কের শক্তিগড়ে ল্যাংচার দোকান পেরিয়ে। বর্ধমানের উল্লাসমোড় ঢোকার বেশ খানিকটা আগে (১ কিলোমিটার) রাস্তার ধারে একটি ধাবার সামনে গাড়ি থামে। অনুব্রত মণ্ডল সিএসএফের একেবারে ঘেরাটোপে ঢোকেন ধাবার ভিতরে। তখন জাতীয় সড়কের ধারে বেশ কয়েকটি গাড়ি-সহ গোটা এলাকাটি সিএসএফ জওয়ানরা ঘিরে রাখেন।
অনুব্রত সটান ঢুকে যান ধাবার কেবিনে। তবে তিনি ল্যাংচা বা কোনও মিষ্টি জাতীয় খাবার খাননি। দু'টি ডালপুরি ও লিকার চা খেয়ে প্রাতঃরাশ সারেন। অনুব্রত এবং সিবিআই আধিকারিকরা ওখানে আধ ঘন্টা ছিলেন। ধাবার কর্মীরা তাঁকে সেরামিকের কাপ ডিশে লিকার চা দেন। অনুব্রত বরাবরই দুধ চা বা কফি এড়িয়ে চলেন চিকিৎসকদের নির্দেশে। বরং দলীয় অনুষ্ঠান, বাড়িতে বা পার্টি অফিসে সব সময়েই লিকার চা খান।
আরও পড়ুন ‘মমতা যা করেছেন, অনেক করেছেন’, দিদির প্রশংসা কেষ্টর গলায়
তবে বিকেলে বোলপুরের দলীয় কার্যালয়ে থাকলে লিকার চায়ের সঙ্গে গরম সিঙারা খেতে পছন্দ করতেন। এদিন ধাবায় সিএসএফ জওয়ানরা কেবিনের ভিতরে কার্যত মাছি গলতে দেয়নি। অনুব্রতের গাড়ি থামার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার বহু মানুষ ধাবার সামনে উপস্থিত হন। পথচলতি মানুষজন ও গাড়িও থেমে যায় থাবার সামনে। ব্রেকফাস্ট সেরে অনুব্রতকে নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও সিবিআই আধিকারিকরা যখন ধাবা থেকে বের হন তখন সেখানে উপস্থিত হওয়া তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে দেখে 'জয় বাংলা' স্লোগান দেন। অনুব্রত তাঁদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন। তার পর সিবিআইয়ের গাড়ি চলে যায় আসানসোলের উদ্দেশ্যে।