Birbhum News: বালিঘাটের দখলদারি এবং তোলাবাজিকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে বোমাবাজির জেরে পা উড়ে গেল এক ব্যক্তির। আক্রান্ত ব্যক্তি এলাকায় তৃণমূলকর্মী বলেই পরিচিত। বোমাবাজির জেরে আহত হয়েছেন আরও একজন। তাঁদের দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের খয়রাশোলে। কাঁকরতলার জামালপুর গ্রামের ডাঙ্গালপাড়া ও বাখোলপাড়া এলাকার মাঝে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
বালিঘাটের দখল ও টাকার ভাগাভাগি নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর গোলমালের জেরেই এই ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে। বোমাবাজির জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় গ্রামে ৷ ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এখনও পর্যন্ত ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। বালি, পাথর, কয়লার অবৈধ কারবার নিয়ে বরাবরই উত্তপ্ত থাকে বীরভূম। তোলাবাজির ঘটনায় শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দলের অভিযোগ ওঠে বেশি। মঙ্গলবারের ঘটনাও তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বলেই অভিযোগ। BJP বিষয়টি নিয়ে কাঠগড়ায় তুলেছে তৃণমূলের দুই নেতা অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখকে। যদিও তৃণমূলের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অজয় নদের বালির ঘাট ও বালির টাকার ভাগ নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল দীর্ঘদিন ধরে। তৃণমূলের স্থানীয় নেতা স্বপন সেন ও উজ্বল হক কাদেরি ওরফে আব্দুল হক কাদেরি গোষ্ঠীর মধ্যে এই দ্বন্দ্ব চলছিল। সেই দ্বন্দ্বই মঙ্গলবার সকালে চরম আকার ধারণ করে। এদিন তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী ইন্দরডাঙ্গা গ্রামে শতাধিক বালির গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। তাদের দাবি, তোলাবাজির ভাগ দিতে হবে।
আরও পড়ুন- Partha Chatterjee: 'পার্থকে চিরতরে সরিয়ে দিতে চায়', সাংঘাতিক আশঙ্কায় রাজ্যপালকে চিঠি BJP সাংসদের
এই বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এদিন গ্রামের মাঠে দুই গোষ্ঠীর আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করে। গ্রামের মাঠে মুড়িমুড়কির মতো বোমা পড়তে থাকে। বোমার আঘাতে সাত্তার আলি নামে এক তৃণমূল কর্মীর পা উড়ে যায়। তার ভাই শেখ আকবরও জখম হন। দু’জনকেই দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিরাট 'হাতিয়ার' CBI কব্জায়! শীঘ্রই তোলপাড় পড়ে যাবে বাংলায়?
বীরভূমের পুলিশ সুপার আমনদীপ জানান, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তার মধ্যে দু’জন চিকিৎসাধীন। দুবরাজপুরের BJP বিধায়ক অনুপ সাহা বলেন, "অনুব্রত ও কাজলের লোকেরা বালির কাটমানি, তোলার টাকা নিয়ে বোমাবাজি হয়েছে। ধিক্কার জানাই তৃণমূলকে। কোথা থেকে এল এই বোমা? মুখ্যমন্ত্রী বেআইনি বালি নিয়ে কথা বলছেন, কিন্তু প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। শাসকদলের লোকজন গ্রামে বোমাবাজি করছে।" জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, "এখানে তৃণমূলের কোনও বিষয় নেই। কিছু দুষ্কৃতী সক্রিয় হয়ে চাঁদা তোলার চেষ্টা করে। প্রশাসন সক্রিয় আছে, দেখছে। এটা কোনও গ্রামের, বা ক্লাবের ব্যাপার। হয়তো টাকা তুলতে গিয়েছিল। সেটা নিয়েই ঝামেলা হয়েছে।"
আরও পড়ুন- Holidays: পরপর ছুটি রাজ্যে! কবে থেকে.. ক'দিন? ঝটপট জানুন বিস্তারিত