Adhir Chowdhury On Anubrata Mondol: কু-কথা কাণ্ডে অবশেষে হাজিরা দিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বৃহস্পতিবার দুপুরে বোলপুরের SDPO অফিসে বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। ইতিমধ্যে আইসিকে হুমকি কান্ডে চারটি ধারায় অনুব্রত'র বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর আগে দু'বার পুলিশ তাঁকে সমন পাঠিয়ে তলব করলেও হাজিরা এড়িয়েছিলেন তিনি। শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে পুলিশি হাজিরা এড়িয়েছিলেন কেষ্ট। বোলপুরের আইসিকে ফোনে কদর্য ভাষায় গালাগালি কাণ্ডে পুলিশ তার বিরুদ্ধে FIR দায়ের করেছিল। সেই FIR-এর ভিত্তিতেই তাঁকে তলব করা হয়। অবশেষে ঘটনার ৭ দিন পর পুলিশি হাজিরা অনুব্রত মণ্ডলের। বৃহস্পতিবার দুপুর ৩.২৫ মিনিটে তিনি সংবাদ মাধ্যমের নজর এড়িয়ে পিছনের গেট দিয়ে বোলপুর এসডিপিও অফিসে হাজিরা দিয়েছেন। এই মুহূর্তে তাকে জেরা করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এদিকে অনুব্রতর হাজিরা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি দাপুটে কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
দাপুটে কংগ্রেস নেতা তথা বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ এদিন সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "আইসির ফোন বাজেয়াপ্ত করার মধ্য দিয়ে অনুব্রতকে রক্ষার চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল নেত্রী। কেন অনুব্রত আইসিকে গালিগালাজ করল, সেই তদন্ত না করে কীভাবে সেই কল রেকর্ড বাইরে বেরলো সেটা নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। এরপর আইসি লিটন হালদারকেই না অনুব্রত মন্ডলের কাছে ক্ষমতা চাইতে হয়। কারণ প্রমাণ করতেই হবে সেই প্রকৃত অপরাধী। এরপর আইসি উপর 'শাস্তির খাঁড়া' নেমে আসবে। প্রমান করতে হবে আইসি-ই তৃণমূলের শত্রু। আইসিকে ফাঁসানো হবে। দিদির আমলে লাথি- জুতো খেলেও বাইরে বলা যাবে না। এই তো বাংলার শাসন ব্যবস্থা"।
উল্লেখ্য আইসিকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ কান্ডে বোলপুরের আইসি লিটন হালদারের দুটি ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেগুলি ইতিমধ্যে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, অনব্রত মন্ডলের আইফোনটিও আজ বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে। তদন্তের স্বার্থে সেটিও ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠানো হবে।