Anubrata Mondal: এক পুজোর আগে গ্রেফতার। আরেক পুজোর আগে বাড়ি ফেরা। আজ সোমবার তিহাড় জেল থেকে ছাড়া পেতে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের 'দাপুটে নেতা' অনুব্রত মণ্ডল। গত শুক্রবার গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর জামিন মঞ্জুর করেছে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। গরু পাচার মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর ১৮ মাস জেল বন্দি ছিলেন তিনি। গত শুক্রবার জামিন পান তিনি। এবার বাড়ি ফেরার পালা।
সম্ভবত আজই জেল থেকে ছাড়া পেতে পারেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডল। মুক্তির আগে ১০ লক্ষ টাকার বণ্ড জমা দিতে হবে। এর আগে জামিন পেয়েছেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যাও। জামিন পেলেও বাড়ি ফেরেননি। দিল্লিতেই ছিলেন তিনি। আজ বাবার জেলমুক্তির পর অনুব্রতর সঙ্গেই বোলপুরে নিজের বাড়িতে ফিরতে চলেছে সুকন্যাও। ২০২২ এর ১১ অগাস্ট সিবিআই তাকে গ্রেফতার করে। এরপর অনুব্রতকে হেফাজতে নেয় ইডি। এর আগে সিবিআই মামলায় জামিন পেয়েছিলেন তিনি। গত শুক্রবার ইডি মামলাতেও জামিন পান তিনি। অবশেষে পুজোর আগেই বোলপুরের নিজের বাড়িতে ফিরতে চলেছেন বীরভূমের 'বাঘ' অনুব্রত।
ময়নাতদন্তে চাপ, 'রক্তগঙ্গা' বয়ে যাওয়ার হুমকি, বিস্ফোরক অভিযোগ ঘিরে তোলপাড়
গরুপাচার মামলায় অবশেষে স্বস্তি অনুব্রত মণ্ডলের। শুক্রবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত তাঁকে জামিন দেয়। এর আগে সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছিলেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি। শুক্রবার ইডি-র দায়ের করা মামলাতেও জামিন পেয়ে গেলেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই নেতা। ব্যক্তিগত ১০ লক্ষ টাকা বন্ডের বিনিময়ে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক। এর আগে জামিন পেয়েছিলেন অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। এবার জামিন পেলেন অনুব্রত। পুজোর আগে আগামীকাল মঙ্গলবার বোলপুরের নিজের বাড়ি ফিরছেন কেষ্ট।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১১ অগাস্ট বোলপুরে নিজের বাড়ি থেকেই গ্রেফতার হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট। তাঁকে প্রথমে গ্রেফতার করে সিবিআই। প্রথমে আসানসোল সংশোধনাগারে রাখা হয়েছিল কেষ্টকে। পরে তিহাড় জেলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেই থেকে তিহাড় জেলেই বন্দি তিনি। এই একই মামলায় ওই বছরের নভেম্বর মাসে ইডিও তাঁকে গ্রেফতার করেছিল।
সিবিআই মামলায় জামিনের আবেদন করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুব্রত। সেই মামলায় শুনানির সময় তাঁর আইনজীবী বার বার সওয়াল করেন, গরু পাচার মামলায় অন্য অভিযুক্তরা ছাড়া পাচ্ছেন। কিন্তু তাঁর মক্কেলকে আটকে রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফে অনুব্রতর জামিনের বিরোধিতা করা হয়। তাঁদের যুক্তি এই মামলায় অনুব্রতই মূল অভিযুক্ত। জামিনে ছাড়া পেলে সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ নষ্ট করতে পারেন তিনি। যে কারণে বেশ কয়েকবার জামিন খারিজ হয়ে যায় তাঁর।
বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে বিরাট বৈঠক, সোমবার বর্ধমানে মুখ্যমন্ত্রী
এরপর গত ৩০ জুলাই সিবিআইয়ের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে জামিন দেয়। জামিন মঞ্জুর করেন বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এবং বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার ডিভিশন বেঞ্চ। সোমবার তিহাড় জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের।