অবশেষে টালবাহানার পর দিল্লিতে ইডি-র দফতরে গেলেন অনুব্রত মণ্ডল কন্যা সুকন্যা। বুধবার দিল্লির এপিজে আবদুল কালাম রোডে ইডি দফতরে পৌঁছন সুকন্যা। সেখানে তাঁকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা জেরা শুরু করেছেন বলে সূত্রের খবর। মনে করা হচ্ছে, আজ বিকেল পর্যন্ত জেরা করা হতে পারে সুকন্যাকে। গরুপাচার মামলায় সুকন্যাকে জেরা করতেই তাঁকে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে।
ইডি সূত্রে খবর, সুকন্যার নামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন আধিকারিকরা। তার উৎস কী, একাধিক সংস্থার বিষয়েও সুকন্যাকে জেরা করতে চান গোয়েন্দারা। দিল্লিতেই ইডি হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। তাঁকে এবং সুকন্যাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। গরুপাচার কাণ্ডে আদালতে ইডি আগেই জানিয়েছিল, বেশ কয়েকজনকে জেরা করতে তলব করা হবে। সেই মতো সুকন্যাকে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে। সায়গলের মা ও স্ত্রী-কেও তলব করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এএনএম অ্যাগ্রোকেমের আয়-ব্যয় সংক্রান্ত হিসেব খতিয়ে দেখতে চায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই কারণেই গত ২৮ অক্টোবর তাঁকে তলব করেছিল ইডি। তবে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ইডির হাজিরা এড়িছিলেন সুকন্যা মণ্ডল। হাজিরার জন্য তিনি কিছু সময় চেয়েছিলেন বলেও সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। এর আগেও একাধিকবার সিবিআই হাজিরাও এড়িয়েছেন সুকন্যা। তবে বুধবার ইডি-র দফতরে হাজিরা দিলেন তিনি।
আরও পড়ুন অনুব্রত ‘প্রভাবশালী’, ফের খারিজ জামিনের আবেদন, জেলেই থাকবেন কেষ্ট
সুকন্যার নামে থাকা সংস্থার আয়-ব্যয় সংক্রান্ত হিসেব দেখতে চেয়েছিল সিবিআই-ও। সিবিআইকে ইমেলে আয়-ব্যয় সংক্রান্ত কিছু নথি পাঠিয়েওছিলেন সুকন্যা। তবে সূত্রের দাবি, সুকন্যার পাঠানো ওই নথি দেখে একেবারেই সন্তুষ্ট নন সিবিআই আধিকারিকরা। সংস্থার আয়-ব্যয় সংক্রান্ত অনেক তথ্যই সুকন্যা পাঠাননি বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।