রবিবাসরীয় সকালে তোলপাড় ফেললেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা অনুপম হাজরা। নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি স্ক্যানারে থাকা সায়নী ঘোষকে নিয়ে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন অনুপম। জনপ্রিয় একটি বাংলা টিভি শোয়ে বাবাকে নিয়ে গিয়েছিলেন সায়নী ঘোষ। সেই শোয়ের সঞ্চালিকার সামনে বাবার পরিচয় করাতে গিয়ে সায়নীর বলা কিছু বক্তব্য তুলে ধরে এবার তাঁকে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতা।
ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে এদিন অনুপম হাজরা লিখেছেন, 'দেড় কোটির দুটো ফ্ল্যাট নিয়ে নাড়াচাড়া করছে ED……ED-CBI-এর অফিসারদের একটু "দিদি নম্বর 1"- এর এই এপিসোডটা দেখা উচিত। বাবা সকাল থেকে রাত অব্দি বলছে - "তুমি কি করছো জীবনে…জানো আমার কত জমি আছে?" -- ….দুর্নীতিতে হাত পাকানোর জন্য "পারিবারিক অনুপ্রেরণা" ??!! …তাই সৎ পথে সম্ভব না হলেও অসৎ পথে করে দেখিয়েছে মেয়ে।'
আরও পড়ুন- ফের খুন, আবারও রক্তের ‘হোলি’ বাংলায়! এবার গুলিতে ঝাঁঝরা তৃণমূলকর্মী
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের মোবাইল ফোনের চ্যাট ঘেঁটে সায়নীর নাম পায় ইডি। ইতিমধ্যেই সায়নীর কলকাতার গল্ফগ্রিনের দেড় কোটির দুটি ফ্ল্যাট-সহ বিভিন্ন জায়গায় থাকা সম্পত্তির কাগজপত্র খতিয়ে দেখছে ইডি। বিপুল পরিমাণ ওই সম্পত্তি সায়নী কীভাবে করেছেন সেটাই জানতে চান তদন্তকারীরা। সায়নীর আয়ের উৎস সম্পর্কেও যাবতীয় তথ্য জানতে মরিয়া কেন্দ্রীয় সংস্থা।
দিন কয়েক আগেই তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সের দফতরে ডেকে পাঠিয়ে টানা ১১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ওই দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সায়নী বলেছিলেন, ‘তদন্তকারীদের আচরণ নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। ১১ ঘণ্টা ধরে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আমাকে কোনও কিছুর জন্য চাপ দেওয়া হয়নি। আমার কাছে খুবই মামুলি কয়েকটি নথি চাওয়া হয়েছিল। সেই সব নথি খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা আমাকে কিছু প্রশ্ন করেন, কয়েকটি জিনিসের ব্যাখ্যা চান। আমাকে বলেন, আরও কয়েকটি নথি জমা দিতে হবে।’
আরও পড়ুন- জল-জঙ্গল-পাহাড়ের অপরূপ মিশেল! ছবির মতো সাজানো এপ্রান্ত কলকাতার কাছেই
তবে তাঁকে আবারও ডেকে পাঠিয়েছে ইডি। আগামী বুধবার ফের তাঁকে তলব করা হয়েছে। তাঁকে ফের তলব ইস্যুতে শনিবার সায়নী বলেন, 'এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ তদন্ত। এর সঙ্গে লক্ষ লক্ষ যুবর ভবিষ্যৎ জড়িয়ে রয়েছে। আমাকে যদি তদন্তে সহযোগিতা করতে বলা হয় আমি অবশ্যই করব। আমাকে ৫ তারিখে ডেকেছে। যদি আরও ৫ বার ডাকে আরও ৫ বার যাব। আমার তো লুকানোর কিছু নেই।’