/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/07/soumitra-aparna-759-new.jpg)
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও অপর্ণা সেন।
চিঠি পাল্টা চিঠির লড়াই ঘিরে রীতিমতো সরগরম ভারতের বিদ্বজ্জন মহল। দেশে ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতার আবহে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে পদক্ষেপ গ্রহণের আর্জি নিয়ে ৪৯ জন বুদ্ধিজীবীর চিঠির পাল্টা ৬১ জন বিশিষ্টও মোদীকে চিঠি পাঠিয়েছেন। এই পাল্টা চিঠির জবাব দিতে এবার মুখ খুললেন অপর্ণা সেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়রা। ‘ভয় পেয়েছে’, এ ভাষাতেই ৬১ জন বিশিষ্টদের চিঠিকে কটাক্ষ করেছেন পরিচালক-অভিনেত্রী অপর্ণা সেন। দেশজুড়ে অসহিষ্ণুতার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে , অবিলম্বে প্রতিকার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরকে খোলা চিঠি লিখেছিলেন দেশের ৪৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি। সেই চিঠির পাল্টা হিসেবে শুক্রবার মোদীকে ফের খোলা চিঠি দেন আরও ৬১ জন বিদ্বজ্জনরা। দ্বিতীয় চিঠিতে কার্যত তুলোধনা করা হয়ছে প্রথম চিঠিতে স্বাক্ষরকারী ৪৯ জন বিশিষ্টকে।
আরও পড়ুন: ‘কৌশিক সেনকে মেরে কে নিজের হাত ময়লা করবে’, সায়ন্তনের মন্তব্যে সরব বিশিষ্টরা
ঠিক কী বলেছেন সৌমিত্র-অপর্ণারা?
৬১ জন বিদ্বজ্জনের পাল্টা চিঠি প্রসঙ্গ অপর্ণা সেন বলেন, ‘‘ইতিমধ্যেই কৌশিক সেনের কাছে হুমকি এসেছে। খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। অনুরাগ কাশ্যপের কাছে হুমকি ফোন এসেছে। হাসি পাচ্ছে। মাত্র ৪৯ জন লোক একটা চিঠি দিল, আর তারমধ্যেই দু-দুটো খুনের হুমকি এসে গেল। এত ভয়! তারমানে কোথাও গিয়ে একটা লেগেছে নিশ্চয়ই’’। এ প্রসঙ্গে অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, ‘‘আমার যা বক্তব্য চিঠিতে জানিয়েছে। বাকিরা কে কী তা নিয়ে বলল, তাতে আমার বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই। তাঁরা আগে নিজেদের ঘর সামলাক’’।
আরও পড়ুন: বিরোধী বুদ্ধিজীবীদের দুষে মোদীকে ফের চিঠি বিশিষ্টদের
পাল্টা চিঠি প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন কবি শঙ্খ ঘোষও। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-র পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘প্রথম যে চিঠিটা দেওয়া হয়েছিল, সেটি অত্যন্ত স্বাভাবিক। দেশের পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন হয়ে শুভচিন্তাসম্পন্ন মানুষজন এটা লিখেছেন। কিন্তু তার পরবর্তীতে যে চিঠিটি গিয়েছে সেটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সম্পর্কিত। প্রথম চিঠিতে সই করেছিলেন যে সব বাঙালি, তাঁরা কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গের আনাচার নিয়ে কথা বলছেন তা তো নয়, তাঁরা সম্পূর্ণ দেশের নিরিখে চিঠিটি লিখেছিলেন’’।
৬১ জন বিশিষ্টদের চিঠিতে কী লেখা ছিল?
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘২৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রীকে ৪৯ জন বুদ্ধিজীবীর পাঠানো চিঠি দেখে বিস্মিত হয়েছি। বিশেষ কিছু বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সরব হওয়ায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ওই চিঠি পাঠিয়ে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন তাঁরা। কয়েকটি ঘটনায় মিথ্যা ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে…মাওবাদী হামলার সময় কোথায় ছিলেন তাঁরা? যখন কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা স্কুল জ্বালিয়ে দিয়েছিল, তখনও ওঁরা নীরব ছিলেন। বিরোধী মতপ্রকাশের নামে ঐক্য নষ্টের চেষ্টা হচ্ছে। আমাদের কাছে দেশের ঐক্য, সংহতি পবিত্র বিষয়। যাঁরা এসবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবেন, তাঁদের রোখা হবে।’’