তীব্র দহনে পুড়ছে গোটা দক্ষিণবঙ্গ। জেলায়-জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। গলদঘর্ম দশায় নাজেহাল আট থেকে আশি। একটানা প্রায় দু'মাস দেখা নেই বৃষ্টির। বরুণদেবের কৃপা পেতে এবার তাই ঘটা করে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হল আরামবাগে। হিন্দু রীতি-নীতি মেনে সম্পন্ন হল বিয়ের অনুষ্ঠান।
Advertisment
দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। বৃষ্টির দেখা নেই। প্রায় দু'মাস বৃষ্টি নেই দক্ষিণবঙ্গে। অসহ্য গরমে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড় প্রত্যেকের। ঘর হোক বা ঘরের বাইরে, দহনজ্বালা থেকে মুক্তি মিলছে না। এদিকে, সূর্যের প্রখর রোদে ফেটে ফুটিফাটা চাষের জমি। বৃষ্টি না হওয়ায় শিকেয় চাষবাস। মাথায় হাত কৃষকদের। সব মিলিয়ে অনাবৃষ্টিতে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে।
বরুণদেবের কৃপা পেতে এবার তাই প্রাচীন জনশ্রুতিতেই ভরসা আরামবাগের বাসিন্দাদের একাংশের। বৃষ্টির আশায় আরামবাগ শহরের পাঁরড়ে ঘাট কালীর মন্দিরে ঘটা করে ব্যাঙের বিয়ে দিলেন বাসিন্দারা। মন্ত্র-পাঠের মাধ্যমে হিন্দু আচার মেনেই হল বিয়ের অনুষ্ঠান। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, বৃষ্টির দেবতা বরুণদেবকে 'সন্তুষ্ট' করতেই তাঁদের এই আয়োজন। বরুণদেবকে 'সন্তুষ্ট' করে বৃষ্টি নামানোই ব্যাঙের বিয়ে দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য।
নিয়ম মেনে এই বিয়েতেও বরপক্ষ ও কনেপক্ষ হাজির ছিল। এছাড়াও উদ্যোক্তাদের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে এই কর্মসূচিতে সামিল ছিলেন আরামবাগের প্রাক্তন পুরপ্রধান স্বপন নন্দী এবং দুই কাউন্সিলর প্রদীপ সিংহ রায় ও বিশ্বনাথ চট্টোপাধ্যায়রা। এলাকার বহু বাসিন্দা ব্যাঙের বিয়ে দেখতে এদিন মন্দিরে জড়ো হয়েছিলেন। মা কালীর কাছে সবার একটাই প্রার্থনা, দহন জ্বালা থেকে মুক্তি দিতে নামুক বারিধারা।