Ariadaha Lynching Case: সিসি ফুটেজ বা কোনও ভিডিও ভাইরাল না হলে চোপড়া হোক, বৌবাজার বা আড়িয়াদহের নৃশংস মারধরের ঘটনা কতটা সামনে আসত তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গিয়েছে। কিন্তু শাহজাহান ওরফে সন্দেশখালির "ভাই" বা চোপড়ার "জেসিবি"দের মতোই তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্রছায়ায় থেকে আড়িয়াদহের জয়ন্ত সিংও আড়িয়াদহের "জায়ান্ট" হয়ে গিয়েছেন বলে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয়রা। এর আগেও বহুবার মারধর, মাস্তানির অভিযোগ উঠেছে জয়ন্ত সিংয়ের বিরুদ্ধে। ৮জনকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও ছেলে ও মাকে বেধরক মারধরের ঘটনায় এখনও অধরা জয়ন্ত সিং। "আড়িয়াদহ অধিবাসীরা দিচ্ছে ডাক গুন্ডারাজ নিপাত যাক।" এমন লেখা ফেস্টুন পড়েছে এলাকায়। জয়ন্ত সিংয়ের ছবি দিয়েও পোস্টার পড়েছে আড়িয়াদহে।
অভিযোগ, একটা সময় কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল। পরবর্তীতে দলের নানা লবির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলে বলে সূত্রের খবর। তবে এলাকায় দখলদারি জয়ন্ত সিংয়ের হাতে থেকে চলে যায়নি। অভিমত স্থানীয়দের। এলাকায় দলের পরিস্থিতি বদলেছে জায়ান্টও নিজেকে বদলে নিয়েছে। একটা সময় সায়নদীপ পাঁজা, সূর্য দাসদের সঙ্গে জয়ন্তদের ভালো সম্পর্ক ছিল বলে স্থানীয়দের একাংশের দাবি। এরা একসঙ্গে মেলামেশা করত। সেদিনের ঘটনার পিছনে পুরনো কোনও বিবাদ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সায়নদীপ পাঁজার বাড়ি আড়িয়াদহের কেদারনাথ সিংহ রোড এলাকায়। তাঁর বন্ধু সূর্য দাস জানিয়েছে, তাঁরা শনিবার রাতে ওদের বাড়ির সামনে একসঙ্গে বসে কথা বলছিলেন। রাত একটা নাগাদ পথচলতি এক যুবকের সঙ্গে তাঁর বচসা হয়। দেখে নেব বলে হুমকি দিয়ে চলে যায় ওই যুবক। জয়ন্ত সিং দলবল নিয়ে এসে ওই রাতে বেধরক মারধর করে। এর আগেও নানা গন্ডগোলে নাম জড়িয়েছে জয়ন্ত ওরফে জায়ান্টের। শুধু সায়নদীপ না তাঁর মা ছাড়াতে এলে তাঁকেও বেধড়ক পেটানো হয়। জখম মা ও ছেলেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখনও স্থানীয় মানুষ জয়ন্ত সিংয়ের দলবলের ওপর বেজায় ক্ষিপ্ত।
আরও পড়ুন : < Assault in Uttar Dinajpur: ‘আমি নিজের শর্তে বাঁচতে চাই’, বলছেন ‘জেসিবি’-র নিগ্রহের শিকার উত্তর দিনাজপুরের নির্যাতিতা >
আড়িয়াদহ কাণ্ডে পুলিশ ৮ জনকে গ্রেফতার করলেও জায়ান্ট এখনও অধরা। চোপড়ার জেসিবি গ্রেফতার হয়েছে। স্থানীয় তালতলা ক্লাবের মাথা জয়ন্ত। আড়িয়াদহের প্রমোটিং থেকে জুয়া নিয়েও ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয়রা। সেই সব কর্মকণ্ডেও অভিযোগের তির জায়ান্টের বিরুদ্ধে। এর আগে বোমা-গুলির ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে জয়ন্ত সিং। তার আগেও মারধরের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বুধবার জয়ন্তর বিরুদ্ধে ফেস্টুন, ছবি দিয়ে পোস্টারও পড়ে এলাকায় ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয়রা। এদিকে বাংলা পক্ষ জয়ন্তকে বহিরাগত অপরাধী বলে গ্রেফতারের দাবিতে বেলঘরিয়া থানা ঘেরাওয়ের কর্মসূচি নিয়েছে। এবার দেখার বিষয় কখন গ্রেফতার হয় জয়ন্ত।