কসবায় ৯৫ নম্বর রাজডাঙা মেইন রোডে অবস্থিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি 'ইচ্ছে'। দিন কয়েক আগেই এই বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছেন ইডি-র আধিকারিকরা। এবার কেএমডিএ-র চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিমও পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতার এই বাড়ি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিলেন।
অভিযোগ, ইচ্ছে তৈরির পর কলকাতা পুরসভাকে বিপুল পরিমাণ কর ফাঁকি দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে ওই বাড়ির জমি অধিগ্রহণ করা হতে পারে বলে জানিয়ে দিয়েছেন কলকাতার মেয়র তথা কেএমডিএ-র চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়, 'পুরনিগমের নিয়ম রয়েছে বেনিয়ম বলে বাড়ি ও জমি আধিগ্রহণ করে নেওয়া হতে পারে। অভইযোগ খতিয়ে দেখতে বলেছি। দেখা যাক বেনিয়মের কিছু মেলে কিনা।'
কলকাতা পুরসবা সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯৫ নম্বর রাজডাঙা মেইন রোড। একানে রয়েছে তিনটি প্লট (১০,১১,১২)। পুরনিগমের রাজস্ব কর তালিকা অনুযায়ী শুধু ১১ নম্বর প্লটে ইচ্ছে নামক বাড়িটি রয়েছে। বাকি দুটি প্লট অর্থাৎ ১০ এবং ১২ নম্বর প্লটে বাস্তবে বাড়ি থাকলেও পুরনিগমের নথিতে তার উল্লেখ নেই। সেখানে ওই দুটি প্লট ফাঁকা বলে নথিভুক্ত রয়েছে। অর্থাৎ অবৈধ নির্মাণ হয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘একবার কথা বলুন অভিষেক’, দাবিতে রাতভর বিক্ষোভ, টেট উত্তীর্ণদের টেনে-হিঁচড়ে সরাল পুলিশ
অভিযোগ, ১১ নম্বর প্লটে ইচ্ছে বাড়িটি ২ কাঠা ৯ ছটাক জমির উপর তৈরি। পুরনিগমকে এই বাড়ির জন্য বাৎসরিক ২৩৫৬ টাকা কর দেওয়া হয়। কিন্তু পুরআইন অনুযায়ী ওই বাড়ির জন্য কলকাতা পুরনিগগমের কর পাওয়া উচিত ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার বেশি।
পার্থ-অর্পিতার গ্রেফতারির পরই তাঁদের সম্পত্তি ইডি-র স্ক্যানারে আসে। তল্লাশি নামতেই একের পর এক দুর্নীতির খবর সামনে আসে। ইচ্ছে দুর্নীতি তারই একটি। সূত্রে খবর, ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছে, ওই প্লট নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে।
ইডি আগেই জানিয়েছিল, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় প্রোডাকশন হাউস চালাতেনষ রাজডাঙার ইচ্ছে বাড়িটিতে শ্যুটিংয়ের কাজের সঙ্গেই চলে প্রোডাকশন হাউজের কাজও। ২০১৪ সালে নাকি ৯৫ নম্বর রাজডাঙা মেইন রোডের জমি ও বাড়ির মালিকানা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের থেকে অর্পিতার কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এতসবের প্রশ্ন, পুরনিগমের খাতায় যে বাড়ির কোনও অস্তিত্ব নেই সেখানেই বিগত বছরগুলিতে ব্যবসা চলল, কিন্তু প্রশাসন টের পেল না?